দারুণ রকমের প্রচার করে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এসেছিল ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) । মূলত এই ধারাবাহিকটি পাঁচজন মেয়ে বন্ধুর গল্পকে তুলে ধরবে এমনটাই আশা ছিল দর্শকদের। আর যে বন্ধুত্ব হবে পাড়ার বউদের মধ্যে। তারাই হয়ে উঠবে একে অপরের মনের কথা বলার সঙ্গী।
বলাই বাহুল্য পাড়ার বৌদের এই বন্ধুত্বের গল্পের আড়াল দিয়েই এই ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়কে। বধূ নি’র্যা’ত’ন, নারী অ’ত্যা’চা’র থেকে শুরু করে বিভিন্ন কুসংস্কারের মূলে কুঠারাঘাত করেছে এই ধারাবাহিক। বলা ভালো বিভিন্ন সামাজিক বিষয় ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে আর যে কারণেই এই ধারাবাহিক অল্প সময়ে ভাল রকমের জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বলা ভালো এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিক এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে বেঙ্গল টপার হয়ে গেছে। আসলে আজগুবি গল্পের থেকে দর্শকরা বাস্তবসম্মত ধারাবাহিক দেখতে বেশি পছন্দ করেন। আর সেই কারণেই এই ধারাবাহিকের সাফল্য। বলাবাহুল্য বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনে যতগুলি ধারাবাহিক চলছে তার মধ্যে অন্যতম হট ফেভারিট ধারাবাহিক কার কাছে মনের কথা।
আসলে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় চলা এই ধারাবাহিকে আমরা শুরুর দিকে দেখেছি শিমুলের শাশুড়ি কিন্তু শিমুলকে দু’চোখে সহ্য করতে পারেন না বরং শিমুলের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিলেন তিনি। বলা যায় নরকে পরিণত করেছিলেন। আসলে তিনি নিজেও বাস্তব জীবনে ভীষণ রকম অসুখী ছিলেন। তার স্বামী কোনদিনও তাকে ভালোবাসা দেয়নি। সম্মান করেনি। আর সেই থেকেই তিনি মানুষটা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিলেন। হয়ে উঠেছিলেন খারাপ।
কিন্তু শিমুলের হাত ধরে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসে তার জীবনে। তিনি ভালো হয়ে যান। তার এই পরিবর্তন অবশ্য সহ্য করতে পারেনি তার দুই ছেলে পরাগ পলাশ। তবে আজ মধুমালা দেবীর জীবনে তার ছেলেদের থেকে অনেক বেশি আপন তার বৌমা শিমুল। তিনি শিমুলকে নিজের মেয়ে মনে করেন। সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যাবে তিনি শিমুলকে বলছেন তিনি যেরকম জীবনে সুখ পাননি সেই রকম তিনি চান না শিমুলের জীবনেও হোক। তিনি চান শিমুল যেন জীবনে সুখী হয়, ভালোবাসা পায়। আর সেই জন্যই তিনি শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রুর সঙ্গে শিমুলের বিয়ে ঠিক করেছেন। শাশুড়ি মায়ের মুখে এমন কথা শুনে রীতিমতো চমকে ওঠে শিমুল। তবে কি সত্যি সত্যি শতদ্রুকে বিয়ে করবে শিমুল?
“আগের বছরের মতো গরম নেই, পরের বছর নির্বাচনের সময় দেখবেন কেমন গরমটা পড়ে!” ‘গরম নিয়ে মাথা খারাপ, রাস্তায় নেমে আর কবে জনস্বার্থে কাজ করবেন?’ রচনার মন্তব্যে কটাক্ষ নেট পাড়ার