অসুস্থ দিদি, অসহায় মাকে খাওয়া নিয়ে ফের খোঁটা পরাগের! শিমুলকে হারিয়ে এখন হাহাকার করছে পাল্টিবাজ মধুবালা

বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) দুনিয়ায় কিছু কিছু ধারাবাহিককে নিয়ে বাঙালি দর্শকদের আকাশছোঁয়া আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা থাকে। তবে সবসময় যে সেই সমস্ত ধারাবাহিক দর্শকদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হয় এমনটা একেবারেই নয়। যেমন এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় চলা অন্যতম জমজমাট এবং দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে ক‌ই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) দর্শকদের আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

শুরুতে এই বাংলা ধারাবাহিকটি যখন বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় আসে তখন দর্শকরা দারুণ রকম ভাবে উৎসাহিত বোধ করেছিলেন। আসলে পাঁচ বন্ধুর গল্প ফুটে উঠেছিল এই বাংলা ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। গল্পের ভিন্নতা আকর্ষণ করেছিল বাঙালিকে। কিন্তু অচিরেই সেই ভিন্নতা চুকে গিয়ে একেবারে সাদামাটা আর পাঁচটা ধারাবাহিকের মতোই হয়ে গেছে এই ধারাবাহিকটি।

শয়তানি, কুটনামিতে ভরে গেছে এই বাংলা ধারাবাহিকটি। আর যে কারণে এই ধারাবাহিক একেবারেই দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। বাঙালি দর্শকরা বলছেন পরিচালক বদলের জেরেই নাকি এই দুর্যোগ। আসলে যথেষ্ট পরিমাণে বাস্তবিক পটভূমিতে এই ধারাবাহিকটি তৈরি হয়েছিল। ‌ তবে ধীরে ধীরে বাস্তবতা হারিয়ে চূড়ান্ত অবাস্তবিক হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিকটি।

বলাই বাহুল্য, একজন মানুষ যে আরেকজনের থেকে চূড়ান্ত পরিমান সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার পরে তার আস্থা অর্জন করে নেওয়ার পরেও বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করে তাকে কি আর বিশ্বাস করা যায়? কিন্তু এই ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুল শাশুড়ির শত অপরাধের পরেও তাকে আপন করে নেয় এবং তার এবং তার অসহায় মেয়ের কথা ভেবে নিজের প্রাক্তন শ্বশুরবাড়িতে থেকে যেতেও রাজি হয়ে যায়।

যে শাশুড়ির কথা ভেবে শিমুল শ্বশুরবাড়িতে থাকতে রাজি হল সেই শাশুড়ি কিন্তু শুধুমাত্র মুখে শিমুলকে ভালোবাসি, বিশ্বাস করি বলে। মনে মনে সে শিমুলকে এক কণা মাত্র‌ও ভরসা বিশ্বাস করে না। আর যে কারণে পরাগকে বিষ দেওয়া কাণ্ডে শিমুলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে তার প্রাক্তন শাশুড়ি মধুবালা এবং যে কারণে যে যাত্রা হয় শিমুলের।

তবে এই মুহূর্তে ভিলেনদের পক্ষ নিয়ে মহা ফাঁপরে পড়েছে মধুবালা দেবী। কারণ তার একমাত্র মেয়ে পুতুল প্রতিবন্ধকতার শিকার। সেই শুধুমাত্র ভালবাসে তার বৌদি শিমুলকে আর শিমুলকে ছাড়া সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আর তাকে সুস্থ করার জন্য প্রয়োজন অর্থের। আর সেই অর্থ দিতেই নারাজ পুতুলের দাদা পরাগ। যে পরাগের পক্ষ নিয়ে শিমুলকে জেলে পাঠিয়েছিলেন মধুবালা দেবী আজ সেই পরাগ নিজের অসুস্থ দিদির চিকিৎসায় টাকা দেবে না বলে জানিয়েছে এবং নিজের মা এবং অসুস্থ দিদিকে খাওয়া নিয়ে পর্যন্ত খোঁটা দিয়েছে। যদিও এই পর্ব দেখে দর্শকরা অবধারিত বলতে পারেন নিজের পাপ কর্মের শাস্তি পাচ্ছেন মধুবালা দেবী।