আশির কোটায় বয়স, অনবদ্য নৃত্য পরিবেশন করে মুগ্ধ করলেন শান্তনু মৈত্রের মা

ভ্যালেন্টাইনস ডে স্পেশাল পর্বে এক চমকপ্রদ মুহূর্তের সাক্ষী থাকল জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘সারেগামাপা’-র দর্শকরা। যেখানে সংগীতশিল্পী শান্তনু মৈত্রের মা, মঞ্জু মৈত্র যিনি আশির কাছাকাছি বয়সেও নিজের নৃত্যশৈলীর জাদুতে সবাইকে অবাক করে দিলেন। সাধারণত প্রতিযোগীদের গান ও বিচারকদের মন্তব্যের মধ্যেই জমে ওঠে এই অনুষ্ঠান, কিন্তু এবারের পর্বে এক বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করলেন শান্তনু মৈত্রের মা। সুরের আবহে তার অভিব্যক্তিপূর্ণ নাচে মোহিত হলেন বিচারক, প্রতিযোগী ও দর্শকরা।

এই বিশেষ পরিবেশনায় সংগীতের সুর তুলেছিলেন বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী। তার গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৃত্য প্রদর্শন করলেন শান্তনু মৈত্রের মা, যা ছিল একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত ও আবেগপ্রবণ। মঞ্চে উপস্থিত সকলেই হতবাক হয়ে যান তার অনবদ্য নৃত্যশৈলী দেখে। এত বছর পরেও তার শরীরী ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং তাল লয়ের নিখুঁত সমন্বয় দেখে সকলে সম্মান জানালেন তাকে।

প্রতিযোগীদের গান যখন একের পর এক দর্শকদের মুগ্ধ করছে, তখনই মঞ্চে নতুন মাত্রা যোগ করল এই নৃত্য পরিবেশনা। ‘সারেগামাপা’-এর ইতিহাসে এমন চমকপ্রদ মুহূর্ত খুব কমই দেখা গেছে, যেখানে একজন প্রবীণ শিল্পী এত অনায়াসে তার প্রতিভার সাক্ষর রাখেন। শান্তনু মৈত্র নিজেও আবেগে আপ্লুত হয়ে মায়ের নৃত্য উপভোগ করেন এবং মঞ্চে উঠে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

বিচারকমণ্ডলী সকলেই দাঁড়িয়ে সম্মান জানান এই অসাধারণ পরিবেশনাকে। বিশেষ করে কৌশিকী চক্রবর্তীও তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “সংগীত ও নৃত্য কোনো বয়স মানে না, এই নাচই তার প্রমাণ।” প্রতিযোগীরাও মুগ্ধ হয়ে দেখলেন কীভাবে শিল্পের প্রতি ভালোবাসা এবং নিষ্ঠা বয়সের সমস্ত সীমা অতিক্রম করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ অনিন্দ্য যেখানে জুন সেখানে! চিরসখাতে এবার দেখা যাবে শ্রীময়ীর জুন আন্টিকে, ধারাবাহিকে আসছে বিরাট চমক

এই অনবদ্য পরিবেশনা শুধু একটি রিয়ালিটি শো-এর মুহূর্ত নয়, বরং এটি প্রমাণ করে দিল যে সৃজনশীলতা এবং শিল্পের প্রতি ভালোবাসা চিরন্তন। ‘সারেগামাপা’-র এই বিশেষ পর্বে শান্তনু মৈত্রের মায়ের নৃত্য দর্শকদের হৃদয়ে অনুপ্রেরণার আলো ছড়িয়ে দিল। এটি এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকল, যেখানে বয়স কোনো বাধা নয়, বরং প্রতিভাই শেষ কথা বলে।