যত কাছের মানুষ‌ই হোক, শাস্তি পাবেই! বাবার কোর্টে যাওয়ার হুমকিতে ভয়ে কাঁটা ময়ূরী

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় যতগুলি ধারাবাহিক এই রাজত্ব করছে তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক হল ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) । এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে রমরমিয়ে চলছে। বিশেষ করে এই ধারাবাহিকের গল্প এতটাই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে যে দর্শকরা এই ধারাবাহিক থেকে চোখ সরাতে পারছেন না।

বারংবার এই ধারাবাহিককে ঘিরে বন্ধের গুঞ্জন উঠেছে এমন কি শোনা যাচ্ছে আগামী মাসে অর্থাৎ নতুন বছরেই নাকি সমাপ্তি হতে চলেছে এই ধারাবাহিকের। কিন্তু তার আগেও দারুণ গল্পে জমজমাট ইচ্ছে পুতুল। আপন মায়ের পেটের দিদি যে বোনের জন্য এতখানি প্রাণঘাতী হতে পারে তা ময়ূরীকে না দেখলে বোঝার উপায়‌ই নেই। বলাই‌ বাহুল্য, মেঘের জীবনকে একেবারে কলুষিত, বিষাদগ্রস্ত করে ছেড়েছে সে।

আর মেঘের চরিত্রে কলঙ্কের দাগ লাগাতে সে মেঘের খাবারে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে তাকে নেশাগ্রস্ত প্রমাণ করে। জিষ্ণুর সঙ্গে নাম জড়িয়ে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করে। আর সফলও হয়। এমনকি মিডিয়াকে ডেকে সেই খবর মিডিয়ায় চাউর করে দেয়। আবার সেই সমস্ত খবর কাগজে ছাপানো হলে তা পড়ে শোনায় মেঘকে। আর এত অপমান, অসম্মান, লাঞ্ছনা, গুঞ্জনা সহ্য করতে পারেনি নরম মনের মেঘ। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। আ’ত্ম’হ’ত্যা’র মতো বড় পদক্ষেপ নিয়ে ফেলে।

আর মেঘের এই ঘটনার পর বেজায় ভয় পেয়ে যায় ময়ূরী। কারণ মেঘের এই পদক্ষেপ তার পরিকল্পনার বাইরে ছিল। মেঘ আ’ত্ম’হ’ত্যা’র চেষ্টা করায় তার বাবা যে এই ঘটনার তদন্ত আরও গভীরে গিয়ে করাবেন তা জানতে পেরে ভয় কাঁটা হয়ে গেছে ময়ূরী। আরে তদন্তকে যাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় তার জন্য তদ্বির করবেন মেঘের গুরুজি। তিনি সমাজের একজন মান্যগণ্য ব্যক্তি। উপর মহল পর্যন্ত হাত রয়েছে তার। আর তাই আসল ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা তিনি সর্বতভাবে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেঘের বাবাকে। আর এইসব কথা জানতে পেরে ময়ূরী চেষ্টা করে যাতে নিজের বাবাকে থানা পুলিশ করা থেকে বিরত করা যায়।

মেঘ-ময়ূরীর বাবা অনিন্দ্য বাবু প্রথম থেকেই নিজের বড় মেয়েকে সন্দেহ করছেন। এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, ময়ূরী তার বাবা মাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, এতদিন পরে নালিশ করলে কি পুলিশ সেই কথা শুনবে? অনিন্দ্য বাবু ময়ূরীকে বলেন, না শুনলে তিনি জোর করে শোনাবেন! কোর্টে যাবেন। শুধু তাই নয় মেঘের লেখা চিঠিটা সে হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্ট এর কাছে পরীক্ষা করতে দেবেন। নিয়ে এই ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করে মেঘের মাথায় লেগে থাকা কালো দাগ সরাবেন। যত কাছের মানুষ‌ই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন শাস্তি তার হবেই। বাবার মুখে এই কথা শুনে ভীষণ ভয় পেয়ে যায় ময়ূরী।