সেনগুপ্ত বাড়িতে প্রবেশ করল মিশকা! দীপাকে ভুল বুঝে বাড়ি ছাড়ল সূর্য! আজ হবে দুর্ধর্ষ পর্ব

দীপা কি এবারেও হেরে যাবে মিশকার কাছে? অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) রীতিমতো জমজমাট হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। মিশকা এবার মা হওয়ার মত যে মোক্ষম চাল দিয়েছে তাতে একেবারে কাবু হয়ে গেছে সূর্য এবং দীপা। তারা চাইলেও কোন বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মিশকার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র সন্তানের কথা ভেবে।

দীপা মুক্ত করে মিশকাকে

দীপা যেই জানতে পারে যে মিশকা মা হতে চলেছে তখন থেকেই তার মনে একটাই প্রশ্ন চলছে যে ডাক্তারবাবু এতে যুক্ত নয় তাহলে কিভাবে মা হল সে? অবশেষে সেই ভুয়ো ডাক্তারকে খুঁজে বের করে যার মাধ্যমে আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হয়েছে মিশকা। জেলে তো আগেই গেছে মিশকা। এবার সেই ডাক্তারকেও সমস্ত ভুল স্বীকার করিয়ে জেলে পাঠায় দীপা। তবে মিশকার সন্তানের কথা ভেবে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় দীপা এবং তার সিদ্ধান্তেই মুক্ত হয় মিশকা।

অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব

এর আগে দেখা গেছে যে মিশকাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছে সূর্য এবং দীপা নিজে আর সেটা পুরোপুরি দীপার সিদ্ধান্ত কারণ সে চায় না মিশকার সন্তান অনাদরে বড় হোক জেলের মধ্যে। তবে তখন তাকে সবাই বারণ করেছিল কিন্তু সে শুধুমাত্র সন্তানের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্তটা নিতে বাধ্য হয়েছিল। তবে মিশকার খারাপ ব্যবহারের জন্য সোসাইটি থেকে তাকে সেই বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছে সবাই। এরপর আজকের পর্বে দেখা যাবে অবশেষে সেনগুপ্ত বাড়িতে আশ্রয় নিতে ছুটে এলো মিশকা। তাকে দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে সেনগুপ্ত বাড়ির প্রত্যেকে। আর সূর্য দীপাকে দোষ দিচ্ছে এই ব্যাপারটার জন্য। কেউ বাড়িতে রাখতে চায় না মিশকাকে। তাই বাধ্য হয়ে সে ছুটে গেছে লাবণ্যর কাছে। কারণ এর আগে লাবণ্য তাকে হোটেলে সাহায্য করেছিল। আসলে লাবণ্য নিজে মহিলাদের স্বনির্ভরতা নিয়ে কাজ করে। তাই অসহায় মহিলাদের দেখলে লাবণ্য সাহায্য করতে যাবে না এটা হতে পারে না আর এই সুযোগটাই নিতে চাইছে মিশকা।

এবার মিশকা কোনওভাবে লাবণ্যকে রাজি করিয়েছে সেই রাতের জন্য সেই বাড়িতে থাকতে দিতে। এরপর লাবণ্য দীপা আর সূর্যর কাছে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানতে চায়। সূর্য রাগে বাড়ি ছেড়ে দেয়। দীপা বলে এবার আমিও আসি তবে লাবণ্য তাকে মিশকার ব্যাপারে তার সিদ্ধান্তের কথা জানাতে বলে। দীপা বলে এই বাড়িটা লাবণ্যর তাই সমস্ত সিদ্ধান্ত তাকে নিতে হবে। লাবণ্য বলে এই বাড়িটা সবার আর তাই সবার সিদ্ধান্ত তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দীপা বলে সে বুঝতে পারছে লাবণ্য চাইলেও না বলতে পারছে না আবার পুরোপুরি হ্যাঁ বলতে পারছে না। তাই লাবণ্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা যাচাই করতে সবাইকে জিজ্ঞাসা করছে। তবে দীপা শেষমেষ রাজি হয় থাকতে দিতে তবে শুধুমাত্র এক রাতের জন্য।

অন্যদিকে লাবণ্য নার্সিংহোমে রাখার ব্যবস্থা করে মিশকাকে। সকাল হতেই লাবণ্য তোড়জোড় শুরু করে দেয় ট্রান্সফার করার জন্য আর ওদিকে মিশকাকে গিয়ে বলে তৈরি হয়নি তাই। দীপার শ্বশুর দীপাকে বলে সূর্যকে ফোন করতে এবং জানাতে যে মিশকা বাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে তাই যাতে সে বাড়ি ফিরে আসে। সোনা রুপা দুজনেই বাবাকে ফোন করে এবং তাড়াতাড়ি বাড়ি আসতে বলে কারণ তারা জানায় যে পচা আন্টি বাড়িতে থাকছে না। এদিকে লাবণ্য মিশকার কাছে গিয়ে তাকে জানাই যে এবার তাকে যেতে হবে নার্সিংহোমে এবং সেখানে তাকে ২৪ ঘন্টা দেখা শোনার জন্য লোক থাকবে। মিশকা এতে চমকে যায় এবং তারপরেই সে তার আসল রূপ দেখায় লাবণ্যকে। সে বলে আমি এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না। এরপর কোন ঝড় আসছে সূর্য-দীপার জীবনে?

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)