জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল হল মিঠাই। সুখে-দুখে মিষ্টি মুখে দেখতে দেখতে আমরা দেড় বছর কাটিয়ে ফেললাম। সিরিয়ালের সাকসেস রেট খুব ভালো। বিগত দেড় বছরে কখনোই প্রথম পাঁচের বাইরে যায়নি। আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্পের গরু কখনো কাছে ওঠেনি কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু অবাস্তব জিনিস দেখানো হয়েছে যা দেখে হেসে কুটিপাটি ভক্তরাই।
বর্তমানে আমরা দেখছি যে একদম অন্যরকম গল্প চলছে মিঠাইতে। সিদ্ধার্থ মোদক এক্সিডেন্ট করার পর রিকি দ্য রকস্টার হয়ে ফিরে এসেছে। মাঝে এসে মোদক পরিবারের রিকি দ্য রকস্টার হয়ে তুমুল বাঁদরামি করেছে। মাঝে মাঝে ভক্তরা সত্যিই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছিলেন যে এই ভেবে এটা কি সত্যিই সিদ্ধার্থ মোদক নাকি স্মৃতিশক্তিটা সত্যিই হারিয়ে গেছে সিডের? গত পশুর এপিসোডে অবশ্য সবটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। এটা আমাদের সিড কিন্তু কিছু কারণে সে মিঠাই এর সামনে আসতে পারছে না।
এদিকে রিকির গার্লফ্রেন্ড প্রিয়াঞ্জলীকে দেখে তো মিঠাইয়ের হয়ে গেছে। তার খুব মন খারাপ। গতকাল রাতে তাকে কাঁদতে দেখে আমাদের খুব মন খারাপ হয়েছে। সিদ্ধার্থ নিজে এই বিষয়টা নিয়ে খুব আপসেট। তাই সে ঠিক করে ছিল গতকাল রাতে মিঠাই এর সঙ্গে একবার সে দেখা করবে।
সেই সময় আমরা এমন একটি দৃশ্য দেখতে পাই যেটা মিঠাই ভক্তদের চোখে খুব লেগেছে সেই সঙ্গে যারা মিঠাইয়ের হেটার্স তারা তো সেটা নিয়ে ভীষণ ট্রোলিং করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।এক্সিডেন্ট এর আগে যখন সিদ্ধার্থ মোদক পরিবার থেকে বেরোয় তখন গোপালের ফুল মিঠাই সিডের মাথায় ছুঁইয়ে সিডকে দিয়েছিল। সেই ফুল এখনো নাকি তাজা অবস্থায় রয়ে গেছে সিডের কাছে।
গতকাল নিজের গিটারের ব্যাগের পকেট থেকে সেই ফুল বার করে সিদ্ধার্থ কিছু ডায়লগ বলে আর সেই ফুল দেখে তাজ্জব দর্শকরা।তারা বলতে শুরু করেছেন যে প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে দেওয়া ফুল এত তাজা থাকে কী করে যেখানে সিদ্ধার্থ একটা এক্সিডেন্টের মধ্যে দিয়ে গেছে? সাধারণ অবস্থাতেও তো এক দু দিনের বেশি ফুল তাজা থাকে না। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। অনেকেই বলছেন যে নির্মাতাদের এই সাধারণ বিষয়টা একটু খেয়াল রাখা দরকার ছিল।