Nabab Nandini: নবাবের বাড়ি ঢুকে চা বানাল নন্দিনী,এভাবেই চাকরি দিয়ে শুরু আর শেষটা হয় রান্নাঘরে! নবাব নন্দিনীও ঢুকে গেল সেই একই একঘেয়ে বস্তাপচা ট্র্যাকে

বাংলা সিরিয়ালে যখন গল্পের প্রথম প্রোমো দেখানো হয়। তখন মানুষের মনে খুব উৎসাহ জেগে ওঠে। যে কনটেন্ট খুব ভালো। মূলত দুই চ্যানেলের সিরিয়ালে মেয়েদেরকে মুখ্য করে গল্প দেখানো হয়। কিন্তু মোটামুটি ২০০ ৩০০ এপিসোড হয়ে গেলে আমরা দেখতে পাই নায়িকার আসল লড়াই টা হলো শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার শ্বশুর বাড়ির লোকেদের সবক শেখানো। ডাক্তার ফুটবলার উকিল পুলিশ অফিসার এসব কিছু যে হতে হবে সেটা সে ভুলে যায়।

nabab nandini
বড় আশা নিয়ে মানুষ দেখতে বসেছিল নবাব নন্দিনী। গল্পটা কী হবে আমরা মোটামুটি সকলেই বুঝে গেছি।নন্দিনী হোটেল ম্যানেজমেন্ট কে প্রথম স্থান অধিকার করে নিজের যোগ্যতায় রয়েল প্যালেসের চাকরিটা পেয়ে গেছে। কিন্তু সেখানে তাকে বারংবার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বদমাইশ বসের। আর বারবার তার সঙ্গে দেখা হয়ে যাচ্ছে নবাবের। নবাবের বৌদি কমলিকা হল নন্দিনীর বস। আর এর আগে নন্দিনী কমলিকার বাড়িতে গিয়ে পুজোর ফুলের থালা নিয়ে সকলের মাথায় ফুল ছোঁয়ায় ‌

nabab nandini
এবার দেখা যাবে সে কমলিকার বাড়ি আবার এসেছে কোন কারণে, সে হঠাৎ দেখবে রান্নাঘরে নবাবের মা কাশছে, চা বানাতে পারছিনা তাই তড়িঘড়ি সে রান্না ঘরে ঢুকে চা বানিয়ে সকলকে খাওয়াবে আর সকলের সেটা খুব পছন্দ হবে। জিনিসটা আপাত দৃষ্টিতে দেখতে খুব ভালো লাগছে।

nabab nandini
কিন্তু একটা গভীর সমস্যা লুকিয়ে আছে। ভালো মেয়ে মানেই পুজো করবে এবং ভালো ভালো রান্না করবে এই কনসেপ্ট থেকে কিছুতেই বেরোতে পারল না বাংলা ধারাবাহিক। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে সেটা হলো আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়। অধিকাংশ বাংলা ধারাবাহিক শুরু হয় মেয়েদের চাকরি করা দিয়ে আর শেষ হয় রান্নাঘরে। এই ব্যাপারটা এবার বদলানো দরকার।