‘ইগো ছেড়ে দেওয়া ভালো, আত্মসম্মান নয়’! জিতুর পোস্টের পাল্টা উত্তর নবনীতার! নায়িকার পর’কীয়ার জল্পনা কি তবে মিথ্যে?

বাংলা ধারাবাহিকের দুনিয়ায় ভীষণই পরিচিত নাম ছিলেন অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও অভিনেত্রী নবনীতা দাস (Nabanita Das)। একসঙ্গে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করে প্রথমবারের মতো সমস্ত বাঙালি দর্শকদের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন এই জুটি। যদি‌ও পরবর্তীতে জিতু পা বাড়িয়েছেন সিনেমা দুনিয়ায় কিন্তু নবনীতা এখনও টেলি অভিনেত্রী।

ওই ধারাবাহিকেই একসঙ্গে কাজের সূত্রে প্রেম হয় দুজনের। যদিও তাদের মাঝে ছিল বিস্তর বয়সের পার্থক্য। কিন্তু সেই ফারাককে মুছে দিয়ে বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজনেই। যদিও কিছুদিন আগেই চার বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টেনেছেন তাঁরা‌। বিশেষ করে এই সম্পর্ককে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না অভিনেত্রী নবনীতা দাস।

একটা সময় যাঁদের গভীর প্রেম দেখে সোশ্যাল মাধ্যম বাসীরা চোখ সেঁকতেন সেই প্রেম ভাঙার খবরে চমকে উঠেছিলেন সকলে। সোশ্যাল মাধ্যমে দাম্পত্য ভাঙার খবর দেন নবনীতাই। তখন‌ই তিনি জানিয়েছিলেন, তিনমাস যাবৎ একসঙ্গে থাকছেন না তাঁরা। আগামী অক্টোবরে ডিভোর্স হয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

যদিও দুজনের মধ্যেকার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনতে চাননি জিতু। আর তাই তো নবনীতার প্রোফাইল যখন ভাঙ্গনের ইঙ্গিত দিচ্ছিল তখন জিতুর প্রোফাইলে আবার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আর্জি জানান দিচ্ছিল। অনেকেই মনে করছেন নবনীতার মনে অভিমানের বিস্ফোরণ ঘটেছে। আর সেই কারণেই তিনি এইসব কথা লিখেছেন।

কী লিখলেন নবনীতা? কাকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন?

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন জিতু। আর জিতুর সেই পোস্টের পর‌ই কিছুক্ষণের মধ্যে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন নবনীতা৷ আর সেখানে তার এবং জিতুর মধ্যেকার সম্পর্কের কথাই ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। নায়িকা পোস্টে লিখেছেন, ‘আবেগপ্রবণ হওয়া ভালো, অন্ধ নয় ৷ ইগো ছেড়ে দেওয়া ভালো, আত্মসম্মান নয় ৷ খারাপ স্মৃতি ভুলে যাওয়া ভালো, তার দাগ নয়৷ মাথা নিচু করা ভালো, তবে সত্যের কাছে, ভেসে ওঠা মিথ্যার কাছে নয়..৷’

বিচ্ছেদের কারণ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, কথা কাটাকাটি, ইগোর লড়াই, মতপার্থক্যই তাঁদের মধ্যে দূরত্বের আসল কারণ। আর ফের একবার নিজের সেই দাবিকেই মান্যতা দেন তিনি। কার উদ্দেশ্যে নবনীতার এই পোস্ট, তা আর বুঝতে আর কারোর বাকি নেই৷