ভূত সেজে ভয় দেখাল সন্ধ্যা, এবার আকাশকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে নয়নতারা! বাড়িতে আসছে আসল তারা

স্টার জলসায় নতুন শুরু হয়েছে সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara)। তবে শুরু হতেই জমজমাট হয়ে গেছে এই সিরিয়াল। দুই বোনের এক ছেলেকে নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং ছোট বোনের স্বার্থত্যাগ অবাক করেছে দর্শককে। নিজের অজান্তেই ছোট বোনের প্রেমিককে তার স্বামী করে নিয়েছে। এদিকে আকাশ সন্ধ্যাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে মানতে নারাজ এবং পরে যখন সে জানতে পারে তারা সন্ধ্যার জন্য এই কাজটা করেছে তখন সে দুই বোনকে শাস্তি দেওয়ার জন্য একটা বড় মতলব কষে।

সন্ধ্যার সতীন নয়নতারা

আকাশ কলকাতা থেকে একটা মেয়েকে তার প্রেমিকা তারা হিসেবে নিয়ে আসে কাঞ্জিলাল বাড়িতে। সেখানে মেয়েটি যাকে বেবি বলে ডাকছে এবং এতে প্রচন্ড রেগে যাচ্ছে সন্ধ্যা। নয়নতারার এই কান্ড দেখে সন্ধ্যা আর তার শাশুড়ি মা ঠিক করে যে এই মেয়েটাকে যে করেই হোক বাড়ি থেকে বের করতে হবে আর আকাশ এবং নয়নতারাকে কাছাকাছি আসতে দেওয়া যাবে না।

আজকের পর্বে

গত পর্বে দেখা যায় যে চোখের উপর লং কালি দিয়ে নকল চোখ এঁকে গা সাদা চাদর দিয়ে মুড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে সন্ধ্যা। আর তাকে দেখে মাঝরাতে চমকে উঠেছে নয়নতারা। ভেবেছে সেটা বোধহয় একটা ভূত। আর তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন জড়ো হয়ে গেছে ওই ঘরে এসে। প্রথমে সবাই ভয় পেয়ে যায় কিন্তু পরে জ্বালা আবিষ্কার করে ওটা বৌঠান মানে সন্ধ্যা। আকাশেতে প্রচন্ড রেগে যায় যে মেয়েটার কিছু হয়ে যেতে পারত হঠাৎ করে। এতটাই ভয় পেয়ে যায় যে সে বলে বসে বাড়ি ছেড়ে দেবে। বিজয়াকে আকাশ শাসন করতে বললে বিজয় বলে বৌমা নিজের কথা রেখেছে। কারণ সে বলেছিল নয়নতারাকে ছোবে না কথাও বলবে না।

ওদিকে সকাল হতেই আকাশ প্ল্যান করে কি করে নয়নতারাকে আটকে রাখা যায়। তখন সে নিজের মাকে বলে, নয়নতারাকে যদি এই বাড়ি ছাড়তে হয় তাহলে সন্ধ্যাকে বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যেতে হবে। চুপ করে যায় বিজয়া। ওদিকে আকাশের পিসি ঠাম্মি নয়নতারাকে আলাদা করে ডেকে এনে বোঝায় সে যেন বাড়ি ছেড়ে না যায় তাহলে তার প্রতিশোধ পূর্ণ হবে কি করে? এবার ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বাড়ি যাবার ভূত মাথা থেকে বের করে দেয় নয়নতারা।

ওদিকে সকাল বেলা সন্ধ্যা ঘুম থেকে উঠে যায় এবং তারপর ব্যাপারটা বুঝে সে তার শাশুড়ি মায়ের কাছে যায়। পরামর্শ দেয় যে এমন করে মিলকে ব্যস্ত রাখতে হবে যাতে সে নয়নতারার কাছে যাওয়ার সময় না পায়। এবার সন্ধ্যার কাছে সর্বশেষ উপায় হল তার বোন তারা। সে তার বোনকে ফোন করে এবং তাকে কাঞ্জিলাল বাড়িতে চলে আসতে বলে।