অভিমন্যুর মুখে ঝামা ঘষে এক হল সৃজন-পর্না! এবার কী হবে সুইটির! নিম ফুলের গল্পে আসছে চমক!

বর্তমানে জি বাংলার (zee bangla) সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu)। একদম প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের মনে জিতে নিয়েছে। ধারাবাহিকের গল্প যত এগিয়েছে তত জনপ্রিয়তা বেড়েছে ধারাবাহিকটির। পল্লবী শর্মার (pallabi sharma )পর্না চরিত্রটি দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছে দর্শকদের মাঝে।। রুবেল দাসের (rubel das) সাথে পল্লবী শর্মার জুটি ও বেশ পছন্দ করে দর্শকরা। গল্পে বরাবরই অভিনবত্ব দেখা যায় এই ধারাবাহিকের।

বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, সৃজনের মুখ থেকে সুইটির ব্যাপারে সমস্ত কথা জানতে চায় পর্ণা। সৃজন পর্ণাকে বলতে থাকে, যে সুইটি তাদের বাড়িতে এসে তার ওপর জোর খাটাতে থাকে। ওর সাথে আমার আইন মেনে বিয়ে হয়নি। আর ও আমার মাকে পটিয়ে নিয়ে সারা বাড়ির লোকেদের উপর ছরি ঘুরাচ্ছে । আসলে আমার মায়ের উৎসাহেই ও এসব করছে। এরপর সৃজন, অমি, বাবু এবং জেঠিকেও এই বিষয়ে কথা বলতে অনুরোধ করে।

neem phuler modhu today episode 15 july

এরপর অমিবাবু পর্ণাকে বলেন, যে আমরা সত্যি বলছি বিশ্বাস করো। ওই সুইটি মেয়েটাকে আমরা কেউই সহ্য করতে পারি না। ওকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার কথা বললেও ও বেরোতে চায় না। ও সৃজনসহ বাড়ির সবার ওপরেই জোর খাটিয়ে অশান্তি করতে থাকে। এরপরও বাবু আরো বলে যে ওই সুইটি নামের মেয়েটি একটি ঠগ জোচ্চোর , সৃজনের সাথে ওর কোন রকম সম্পর্ক নেই। সেই জন্যই সৃজন ওকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়নি।

এরপর সবার কথা শুনে বিশ্বাস করে পর্ণা। পর্ণা বলে যে এবার সে ওই সুইটিকে জব্দ করেই ছাড়বে। সুইটিকে দত্ত বাড়ি থেকে তাড়িয়ে ছাড়বে সে। এরপরেই হঠাৎ পাটনা জানায় যে তার মাথায় ব্যথা করছে এবং হালকা কিছু স্মৃতি ফুটে উঠছে। এই কথা জেনে সবাই জানতে চায় যে পুরানো কোন কথা মনে পড়ছে এতে সৃজনকে পর্ণা জিজ্ঞেস করে যে মনে করার মত কিছু ঘটেছে কিনা। পর্ণা জানায় সবকিছুই কেমন যেন অস্পষ্ট মনে পড়ে তার কিছুই স্পষ্ট না। সবাই বুঝতে পারে যে পর্ণার পুরানো স্মৃতি আস্তে আস্তে ফিরছে। কিন্তু সেই স্মৃতি জোর করে মনে করানোর জন্য কেউ পর্ণাকে চাপ দেয় না কারণ সবাই বুঝতে পারে এতে উল্টো বিপদ হতে পারে।।

আরও পড়ুন: জমে গেছে শুভ বিবাহ! কোন উপায়ে ঠাম্মির ভুল ভাঙাবে সুধা? গল্পে আসছে নতুন চমক!

এরপর দেখা যায় সবাই মিলে বাড়ি যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। চয়ন সৃজনকে এসে বলে মেজদা দেখ সিনটা কেমন বদলে গেল তাই না। চয়ন এবং বর্ষা পর্ণাকে বলে যে আজ থেকে তারা পর নাকি বৌদি ভাই বলে ডাকবে। পর্নাও সম্মতি জানায়। এরপর পর্ণা সৃজনকে বলে তার জগ্গুদাদা যে তার জীবনে এরকম একটা মোড় রেখেছিল সেটা সে ভাবতেই পারেনি সৃজনকে পেয়ে সে খুবই খুশি হয়েছে। কারণ সে সৃজনকে ভালোবাসে। এতদিন সুইটির জন্য সে সেটা বলতে পারেন। পর্ণার মুখে এই কথা শুনে খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরে শ্রসৃজনজন তখনই অভিমুন্য এসে চিৎকার করে ওঠে। এবং অভিমন্যুকে দেখে সৃজন মনে মনে বলতে থাকে আমার বউকে কেড়ে নেবে ভেবেছিলে! এরপর কি হবে ! জানা যাবে আগামী পর্বগুলোতে।