জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল নিম ফুলের মধু (Neem phuler modhu) । এই ধারাবাহিকে দেখা যায় পর্না তার পুরনো সব স্মৃতি ভুলে গেছে আর তাকে নতুন করে সবকিছু মনে করাতে গিয়ে আবার সৃজন পর্নার সাথে প্রেম করেছে এবং তাকে বিয়ে করেছে। সুইটিকে দত্ত বাড়ি থেকে বিদায় করে দিয়েছে তারা। সুইটি বিদায়ের পর পর্ণা সৃজনের ফুলশয্যাও হয়ে গেছে।
নিম ফুলের মধু আজকের পর্ব ২৪ সেপ্টেম্বর / Neem phuler modhu today full episode 24 September-
আজকের পর্বে দেখা যায় যে, পর্ণার কথায় সহমত জানিয়ে সৃজন বলে পর্ণা তুমি একদম ঠিক কথা বলেছ, আমরা যদি শাড়ির কথার একটা এক্সিবিশন করি তাহলে আমরা খুব সহজেই কুড়ি লক্ষ টাকা অভিমুন্যদের ফিরিয়ে দিতে পারব। এরপর মৌমিতা বলে দেখি দেখি কী রকম নকশা? এইভাবে নকশা দেখতে যাওয়ার বাহানা করে মৌমিতা কাগজের সেই নকশাগুলোতে কফি ফেলে দিতে যায়। কিন্তু পর্না হাতে নাতে তাকে ধরে ফেলে।
পর্ণা মৌমিতাকে বলে, মৌমিতা দি তুমি কি ভেবেছো বলতো? বারবার অন্যায় করে পার পেয়ে যাবে? মানুষের ভালো করতে না পারো, মানুষের ক্ষতি করতে যেও না তাতে তোমারই ক্ষতি আর একটা কথা তুমি যদি এই নকশাগুলো কোনভাবে নষ্ট করে দিতে তাতেও কিছু হতো না কারণ এই নকশাগুলো সব আগে থেকেই জেরক্স করে রাখা আছে। এরপর মৌমিতা বুঝতে পেরে যায় যে পর্ণার সাথে এইবার আর পেরে ওঠা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে বর্ষাও মৌমিতাকে বলে সত্যিই বড় বৌদি তুমি যে কি করো না মাঝেমধ্যে খুব খারাপ লাগে ভাবতে। ওদিকে এক্সিবিশনের কাজ নিয়ে মেতে উঠেছে পর্ণা। সে তখন সৃজনকে বলে রং তারপর বাকি যা যা জিনিস লাগবে সেগুলো কোথায় আছে? সৃজন বলে সেগুলো তো সব স্টোর রুমে রাখা আছে।পর্ণা বলে, ঠিক আছে আমি যাচ্ছি। অন্যদিকে পূজা অভিমন্যুকে বলে কি ব্যাপার ক্যাপ্টেন তোমার কি মনে হয় পর্ণা সব টাকার জোগাড় করতে পারবে?
অভিমুন্য বলে, আমি পর্নাকে ঠিক বিশ্বাস করি না, ওর যা জেদ ও চাইলে সব পারে। ওদিকে সৃজন রুচিরাকে বলে তোমার কি মনে হচ্ছে না পর্নার আস্তে আস্তে সব স্মৃতি মনে পড়ছে? রুচিরা বলে আমারও ঠিক তাই মনে হচ্ছে। অন্যদিকে পর্ণা মেল করে দেয় অভিমুন্যকে। অভিমুন্য দেখে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে পাঁচ দিনের জন্য ছুটি নিয়েছে পর্ণা। ঈশা তখন বলে, আমি জানতাম পর্ণা এরকমই কিছু করবে। ওদিকে স্টোর রুমে গিয়ে পুরনো সব জিনিস ঘাঁটতে ঘাঁটতে পর্না নিজের হাতে আঁকা সেই নকশার খাতাটা খুঁজে পায়, যেখানে অনেক নকশা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোয়েল মল্লিকের পথেই হাঁটলেন সুদীপা! মায়ের মৃত্যু ও তিলোত্তমা কাণ্ডের জন্য বাড়ির পুজো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সুদীপা চট্টোপাধ্যায়!
পর্ণা তো চমকে যায় যে সেই একই ডিজাইন সে এঁকেছে! এরপর সে সৃজনকে সবটা জিজ্ঞেস করলে সৃজন বলে এগুলো আমি এঁকেছি! পর্ণা কিছুতেই বিশ্বাস করে না তখন পর্নাকে বিশ্বাস করাতে সৃজন নিজে নকশাগুলো আঁকতে রাজি হয়। কিন্তু পর্না জানে সৃজন আঁকতে পারবে না, সৃজন মিথ্যে কথা বলছে! তাহলে কি এবার সব সত্যি কথা পর্নাকে বলে দেবে সৃজন?