Ekka Dokka: ননদের শ্যাম্পু লাগিয়েছে রাধিকা, তাই এবার জুটছে অপবাদ! “এটা কোন আদিম যুগ যে চুলের গন্ধ শুঁকে বদমাইশ ননদ বৌদিকে শ্যাম্পু চোর বলে” ক্ষেপে গেলো দর্শক
বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল স্টার জলসার ‘এক্কাদোক্কা’। তবে জনপ্রিয়তার সাথে সাথে এই ধারাবাহিকের যত আয়ু বাড়ছে টিভির পর্দায় ততই দর্শকদের ক্ষোভের মুখে পড়ছে। কারণ আস্তে আস্তে গল্প যেদিকে এগোচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে এটা আধুনিক যুগ নয় মধ্যযুগ।
ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনামনি সাহা এবং অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিককে। ধারাবাহিক শুরুর পর থেকেই নায়ক নায়িকার জুটি দর্শকদের মন কেড়েছে। সেই সঙ্গে রাধিকা এবং পোখরাজ একে অপরের যেভাবে সঙ্গ দেয় তা নিয়ে রীতিমতো প্রশংসা করতে দেখা গেছে দর্শকদের। কিন্তু তার পাশাপাশি রাধিকার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের একদমই পছন্দ করছে না দর্শকরা।
View this post on Instagram
তারা যেভাবে রাধিকার বিয়ে হয়ে আসার পর থেকেই তার ওপর অত্যাচার শুরু করেছে তা নিয়ে রীতিমতো অভিযোগ শুরু করেছে সকলে। এক কথায় দর্শকদের মতে এটি হলো বধূ নির্যাতন। আর এই ধারাবাহিকে বধূ নির্যাতন প্রমোট করার জন্য রীতিমতো উঠে পড়ে লেগেছেন ধারাবাহিকের লেখিকা। রাধিকার উপর শারীরিক থেকে মানসিক সব রকম অত্যাচার করা হচ্ছে। এমনকি বিয়ে হয়ে আসার প্রথম দিনই তাকে মা ঠেলে ফেলে দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। যা দেখে রীতিমতো খেপে উঠেছিল দর্শক।
তারপরে বৌভাতের রাত্রে তাকে পড়ার জন্য দিয়েছে কাজের লোকের পুরনো একটি শাড়ি এমনকি রাধিকার মানানো খাবার নষ্ট করার জন্য তাতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল অতিরিক্ত ঝাল। তারপরে আবার রাধিকা যখন মেডিকেল কলেজ থেকে আসতে দেরি করে তখন আবার ও পোখরাজের মা তাকে ফেলে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
View this post on Instagram
এবার সম্প্রতি একটি এক্কাদোক্কার পর্বে দেখা যাবে রাধিকার দুই ননদ তাকে অপদস্ত করার জন্য নতুন চোরের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। রাধিকাকে তার এক ননদ বলছে তোমার লজ্জা করে না অন্যের বাথরুম থেকে শ্যাম্পু চুরি করে এনেছো? রাধিকা তার প্রতিবাদ করলেও তার ননদ তাকে চোর প্রমাণিত করতে তার চুলের গন্ধ শুঁকে দেখছে।
View this post on Instagram
আর এইসব দেখে রীতিমত চোটে গিয়েছে নেট নাগরিকরা। তাদের মতে এমন ধরার আচরণ মধ্য যুগে দেখা যেত। তাদের দাবি কোন ভদ্র বাড়িতে এই ধরনের আচরণ হয় না। সেই সঙ্গে বাড়ির বউকেও এমন করে অপমান করা যায় না।