স্টার জলসায় কিছুদিন আগে শুরু হয়েছিল নতুন ধারাবাহিক গোধূলি আলাপ। অসমবয়সী সম্পর্ক নিয়ে তৈরি এই গল্প প্রথম প্রথম মানুষের মন জয় করতে পারেনি বরং সমালোচনা হয়েছে এটা বলেই যে একজন মাঝবয়সী উকিল করে হাঁটুর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করতে পারে।
তবে পরের দিকে গল্প যত এগোতে থাকে তত গোধূলি আলাপ কিন্তু মানুষের মন জয় করে নেয়। অরিন্দম এর সঙ্গে নোলকের বয়সের পার্থক্য অনেক কিন্তু দুজনের মন আস্তে আস্তে মিলতে শুরু করে। ভয়ঙ্কর আহত হওয়ার পর নোলকের প্রার্থনা ও ভালোবাসাতেই বেঁচে ফিরে আসে অরিন্দম। অন্তত তেমনটাই দেখানো হয়েছে ধারাবাহিকে।
তবে সম্প্রতি কিছু দৃশ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি যা দেখে সাধারণ মানুষ বলছে যে আবার সেই এক কূটকচালি শুরু। একটু অন্য কিছু দেখতে পাবো ভেবে গোধূলি আলাপ দেখা শুরু করেছিলাম কিন্তু এখানেও সেই কূটকচালি। একটু সুস্থ স্বাভাবিক জিনিস কি দেখতে পাবো না? হঠাৎ কী হলো যার জন্য দর্শকরা এতটা বিরক্ত হয়েছেন?
আদিত্য রোহিণীকে না পেয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিল এবং তাকে বাঁচিয়ে নেয় নোলক।এই ভিডিও যখন স্টার জলসা পোস্ট করে তখন থেকেই বিরক্ত হতে শুরু করে দর্শকরা এবং বলেন যে কোথায় ভেবেছিলাম অসমবয়সী প্রেমের গল্পটা এগিয়ে যাবে তা নয়,এখানে সেই পুরনো ঘ্যানঘ্যানে জিনিস দেখানো শুরু হয়েছে।
এরপরই আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় যে রোহিণী কনের সাজে দাঁড়িয়ে আছে নোলকের সামনে। নোলক তাকে বলছে যে, আদিত্য দাদার জন্যেই সে এই বিয়েতে মত দিয়েছে। না হলে সে কোনভাবেই রাজি হতো না।রায় বাড়ির বড় বউ হিসাবে সে কোন রকম অন্যায় বরদাস্ত করবেন না। স্বাভাবিকভাবেই রোহিণী মুখে কিছু না বললেও মনে মনে নোলককে কীভাবে বিপদে ফেলা যায় সেটা চিন্তা করতে থাকে।
এইটা দেখার পরই দর্শকরা বলছেন যে, এই শুরু হল। একজন ক্ষতি করবে আর একজন সেই ক্ষতি করা আটকাবে। একজন নেটিজেন বলছেন যে, নোলককে রায়বাড়ির অর্ধেক লোক মানে না, ও রোহিণীকে মেনে নেওয়ার কে?এখনই যদি গল্পের পরিবর্তন না করা হয় তবে কিন্তু গোধূলি আলাপ খুব শীঘ্রই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সকলে।