এই মুহূর্তে স্টার জলসার প্রথম ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে যে সিরিয়াল সেটি হল অনুরাগের ছোঁয়া। সূর্য এবং দীপার সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং ভুল বোঝাবুঝি মিটতে চাইছে না আর সেটাই দর্শকদের কাছে মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে কারণ এই সিরিয়ালের ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে শুধু একটা জিনিসের জন্যই যে কবে চার হাত এক হবে এবং আবার সংসার করবে সুখে এই দুজন।
দীপাকে সন্দেহ
দুজনের বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে সূর্য বরাবর দিপাকে সন্দেহ করে এসেছে। তবে মাঝে দুজনের মিল হয় এবং আসে দুজনের সন্তান সোনা এবং রুপা। তবে এই সোনার জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে দীপাকে আবার নতুন করে সন্দেহ করতে শুরু করে সূর্য যে তার স্ত্রীর কোনও নতুন সম্পর্ক হয়েছে এবং সেই সম্পর্কের ফল হল সোনা। তাই কিছুতেই সে সোনাকে স্বীকার করতে চায় না। এদিকে ভাগ্যক্রমে সোনা এবং রুপা আলাদা করে তাদের মা এবং বাবার কাছে বড় হয়েছে। দীপা আগে জানতো না যে সোনাও তার মেয়ে আর রুপাও জানতো না তার একটা যমজ বোন আছে। আর সূর্যের মনে এই বিষ ঢেলেছে তার বেস্ট ফ্রেন্ড মিসকা।
সোনা রুপা সব জানে
অবশেষে কালক্রমে সোনা এবং রুপা জানতে পারে তারা দুই বোন এবং তাদের মা বাবা হল দীপা এবং সূর্য। তাই এখন তারা চাইছে তাদের মা দীপা এবং লাবণ্য অর্থাৎ তাদের ঠাকুমা যেন তাদের বাবাকে সব সত্যিটা জানিয়ে দেয় আর ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায়। কিন্তু সেটা দুজন করছে না কিছুতেই।
নতুন আপডেট
এরমধ্যে চলে এলো নতুন পর্বের আপডেট। এবার দীপার সম্পর্কটা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল সূর্য। যতই সে দিপার কাছাকাছি আসে ততই সে বুঝতে পারে যে তার কিছু একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। সে দীপাকে বুঝতে ভুল করেছে এমনটা অনুভব হয় তার। অন্যদিকে, সূর্য কবিরের সঙ্গে দীপার বিষয়টি নিয়ে রাগারাগি করলেও পরে আবার কষ্ট হয় তার। আর সে ভাবতে থাকে যে কথাগুলো কোভিদ বলেছিল সেটা কি সত্য বলেছিল নাকি তাকে সান্ত্বনা দিতেই শুধু সেই কথাগুলো সে বলেছিল। তারপরে আবার সুযোগ হবে না এর আগেও সে টেস্ট করিয়েছে এবং সব পজিটিভ এসেছে। এবার সূর্য দীপাকে আবার ভুল ভাবতে শুরু করে। কিন্তু দীপা ও তার দুই সন্তানকে দেখলে সূর্য বার বার দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপরে সে মনে মনে বলে যে একটা বড় রহস্য রয়েছে এবং সেই রহস্যটা তাকে খুঁজে বের করতেই হবে যে দীপা আর কবির সত্যি কথা বলছে নাকি সূর্য নিজেই ভুল।
আবার টেস্ট করায় সূর্য
এবার আবার টেস্ট করাতে চাইছে সূর্য। আর এমন কথা ভাবতে ভাবতে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সূর্য। সে আমার নিজের টেস্ট করায় এবং রিপোর্টগুলো না পাওয়া পর্যন্ত সেই জায়গা ছাড়ে না সূর্য। কিছুক্ষণ পর রিপোর্ট আসলে সে চমকে যায়। মনে মনে সে বলতে থাকে আমি না জেনে এতদিন দীপার ওপর জুলুম করে এসেছি। আমার রিপোর্ট তো পজিটিভ এসেছে। আমি পুরোপুরি ভাবে সুস্থ। আমি বাবা হতে সক্ষম। তার মানে আগের রিপোর্ট ভুল দিয়েছে। ডাক্তার নাকি এর পেছনে অন্য কারো হাত রয়েছে এবার সেটাই বের করতে চাইছে সূর্য।