জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের গল্পে চলছে ধুন্ধুমার পর্ব আর টান টান উত্তেজনা। সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গেছে, শিমুলের সঙ্গে ডিভোর্স গহয়েছে পরাগের।তারপর ছাত্রী প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে পরাগ। কিন্তু বিয়ের দিন সকালেই চায়ের সঙ্গে পরাগকে বিষ খাওয়ায় প্রতীক্ষা। সকলে আঙুল তোলে শিমুলের দিকে। গ্রেফতার হয় শিমুল। কপালে জোটে হাজত বাস।
শিমুলকে ছাড়াতে যারপরনাই চেষ্টা শুরু করে শতদ্রু ও তার বান্ধবীরা। শিমুলের কেস উকিল করা হয় মিস আরাধনা ব্যানার্জিকে। কয়েকটি পর্বে চলে কোর্টরুম ড্রামা। টান টান উত্তেজনায় পরিপূর্ণ ছিল যুক্তি-পাল্টা যুক্তির খেলা। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন জজসাহেব। বেকসুর খালাস পায় শিমুল!
শিমুলকে ফাঁসানো ও পরাগকে বিষ দেওয়ার অপরাধে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হয় প্রতীক্ষা মাথা উঁচু করে বাড়ি ফিরে আসে শিমুল। এবার প্রতীক্ষার সঙ্গ ছেড়ে শিমুলকে ‘মেয়ে’ বলে ডাকেন তিনি। কিন্তু শিমুল ভুলবার পাত্রী। পরাগের বাড়িতে এক মুহূর্ত থাকতে রাজি নয় সে।
অন্যদিকে, আদালতের রায় শুনে সবটা বোঝে পরা। শিমুল যখন তাঁর বাড়ি ফিরে আসে তখন সে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে মাথা নীচু করে। পুতুল শিমুলের হাত ধরে বলে সে যেন মাঝে মাঝে আসে ওই বাড়ি। শিমুলও বলে, সে আসবে। এমন সময় পরাগ এগিয়ে আসে আর শিমুলের উদ্দেশ্যে বলে, তাঁকে কি আর একবার সুযোগ দেওয়া যায় না!
শিমুল প্রত্যুত্তরে বলে, কি ব্যাপারে? তখন পরাগ বলে, সে আবার তাঁর জীবনটাকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চায়। নতুন করে সবটা শুরু করতে চায়। দূরে দাঁড়িয়ে মধুবালা দেবী শাপশাপান্ত করতে থাকে। আর পুতুল বলে, “এতদিনে তোর ক্ষমা চাওয়ার কথা মনে হল, যা না প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে কর।” পরাগ তখনও হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকে শিমুলের সামনে। “শিমুল যখন বল, কেন বাজারে মেয়ে কি কম পড়েছে নাকি।” শিমুলের উত্তর শুনে খুশি হয় পুতুল। সে হেসে বলে যোগ্য উত্তর পেয়েছে পরাগ।