‘নিম ফুলের মধু’-তে মহাধামাকা! খাবারে জোলাপ মেশাতে গিয়ে পর্ণার হাতে ধরা পড়ল মৌমিতা! অপেক্ষা করছে বিরাট শাস্তি

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। এই ধারাবাহিকটি মূলত এক মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে। সেই দত্তবাড়ির আদরের ছেলে সৃজন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী আলোকপর্ণার। বিয়ের পর নতুন সংসারে এসে পরিবারের সবাইকে আপন করে নেয় পর্ণা। দত্তবাড়ির অচলায়তন ভেঙে নতুন ছন্দে বাঁচার প্রয়াস খোঁজে সে। এদিকে, আলোকপর্ণার শত্রুর শেষ নেই। সংসারের মধ্যে তো আছেই আর পরিবার বহির্ভূত ‘ঈশা ত্রাস’ পর্ণার জীবনকে প্রতি মূহুর্তে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।

পর্ণা ও সৃজনকে সুখী দম্পতি হতে না দেওয়া আর পর্ণাকে সবার চোখে খারাপ করা যেন প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে ঈশার। কখনও দুজনের বিচ্ছেদ ঘটানো তো কখনও পর্ণার ছবি বিকৃত করা। ক্রমে ব্যক্তিগত আক্রোশকে আরও জান্তব করে তুলেছে ঈশা। পর্ণার সংসারকে ভাঙতে তাঁকে পথে বসাতে কত শত ফন্দি এঁটেছে সে। শাড়ি কথায় আগুন লাগাতেও পিছপা হয়নি।

এতকিছুর পরেও বারংবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে পর্ণা। ঈশা সৃজনকে চোর প্রমাণ করতে চেয়েছে জেঠুর চোখে তাও যখন পারেনি তখন বাজুরিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দত্তবাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে মোক্ষম চাল চেলেছে সে। কিন্তু ঈশা জানেনা সেই দত্তবাড়ির বউ আলোকপর্ণা দত্ত। ঠিক মুহুর্তে টাকা জোগাড় করে দত্তবাড়িকে দুহাতে রক্ষা করেছে পর্ণা।

এদিকে, শাড়ি কথা ও জেঠুর মশলার ব্যবসা বন্ধ হবার পর বাঁকুর কথায় অর্থ উপার্জনের জন্য নয়া পথ খুঁজেছে পর্ণা। পর্ণার কথামতো হোটেলের ব্যবসা খোলে দত্ত পরিবার। প্রথম দিন দত্তবাড়িতে থাকতে আসে বরাগ পরিবার। কিন্তু পর্ণার প্রয়াস যাতে মাঠে মারা যায় তার জন্য প্রথম থেকেই নাকাল করা শুরু করে ঈশা ও মৌমিতা। যদিও সফল না হতে ফের ফন্দি আঁটে তাঁরা। এবারের ফন্দি খাবারে জোলাপ মিশিয়ে দেওয়া।

ঈশার কথামতো অতিথিদের খাবারে জোলাপ মিশিয়ে দেয় মৌমিতা। যদিও পর্ণা আগের থেকেই সতর্ক ছিল। সে রুচিরার মাকে দিয়ে সব রান্না ফের নতুন করে রেঁধে রান্নাঘরে রেখে আসে। আর সেই রান্নাই খেতে দেওয়া হয় বরাগদের। রান্না করা খাবার খেয়ে অতিথিরা যখন সুস্থ আছে, তা দেখে অবাক হয়ে যায় মৌমিতা। এমন সময় পর্ণা তাঁকে হাতেনাতে ধরে। মৌমিতা পর্ণার কথা শুনে চমকে যায় ও পর্ণার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে, এমন কাজ সে আর কখনো করবে না।