কিছুদিন আগেই স্টার জলসায় (Star Jalsha) শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক রাঙামতি তীরন্দাজ (Rangamati Tirandaj)।ধারাবাহিকের গল্প বেশ পছন্দ করছেন সিরিয়াল প্রিয় দর্শক। যথারীতি দেখা যাচ্ছে টিআরপি তালিকায় ট্রেন্ডিং রাঙার কাহিনী। আদিবাসী মেয়ের তীরন্দাজ হয়ে ওঠার জার্নি দেখতে টিভির সামনে বসছেন টেলিদর্শক।
রাঙামতি তীরন্দাজ আজকের পর্ব ১৭ অক্টোবর | Rangamati Tirandaj Today Episode 17th October
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায় রাঙা ছাদে উঠে বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়ে। আর সেটা কিনা দেখতে পায় আক্কু। আর রাঙার এই অবস্থা দেখে আক্কু তাকে ডেকে তোলে ও প্রশ্ন করে। এই ছাদে রাঙা কেনো ঘুমিয়ে আছে সেই প্রশ্ন করে আক্কু। রাঙা তখন আক্কুকে জানায়, তার খোলা আকাশের নিচে ঘুমাতে ভালো লাগে তাই সে সেখানে ঘুমিয়ে ছিল। এরপর আক্কু বোঝাতে থাকে রাঙাকে যে, এ বাড়িতে যদি কেউ রাঙার সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করে তাহলে যেন রাঙা সঙ্গে সঙ্গে আক্কুকে জানায়।
আক্কু আর প্রমিতা দুজনে রাঙাকে নিয়ে এসেছে একজন সফল তীরন্দাজ বানাবে বলে কিন্তু সে এই বাড়ির কাজের লোক নয়। এটা যেন রাঙা সবসময় মাথায় রাখে। এমন সময়, ছাদে দাঁড়িয়ে রাঙা এবং আক্কুকে কথা বলতে দেখে নেয় ময়নার দাদা। তখন সে আক্কু ও রাঙার কথা বলার সময় ভিডিও তুলে রাখে নিজের ফোনে। এটাই তার একটা অসৎ উদ্দেশ্য।
অন্যদিকে দেখা যায়, প্রমিতা এবং নবারুণ রাঙার জন্য চিন্তা করছে। নবারুণ চায় যে রাঙার ভালো জায়গায় বিয়ে হোক। আর তার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা রাঙার ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে। আর এ কথাই আড়াল থেকে শুনে ফেলে ময়না। ময়না একথা শুনে জানায় বৃন্দকে। সব কথা শুনে পরদিন ময়না এবং ময়না দাদার সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় বৃন্দার। তারা প্ল্যান করতে থাকে কিভাবে রাঙাকে এই বাড়ি থেকে তাড়ানো যায়। এরপর ময়নার দাদা জানায়, রাঙার বিয়ে হয়ে গেলে আসলে তাদেরই লাভ। রাঙা তখন এই বাড়ি থেকে চলে যাবে। তবে রাঙার তো বিয়ে হবে ময়নার দাদার ঠিক করা পাত্রের সঙ্গেই। যার ফলে রাঙাকে এই বাড়ি থেকে রাঙাকে তা’ড়ানো যাবে আবার শ্বশুর-শাশুড়ি সেই ১০-১২ লাখ টাকা তারা পেয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ “অল্প বয়স, ঠিক করে জানেই না কোথায় কি হচ্ছে…” সৌমীতৃষার কার্নিভালে যাওয়া প্রসঙ্গে কী কটাক্ষ ছুঁড়লেন ‘ইচ্ছে পুতুল’ খ্যাত মৈনাক ?
এদিকে দেখা যায়, পরের দিন বাড়িতে আহেরিকে নিয়ে এসেছে আক্কু। আহেরি আসতেই তাঁকে যত্ন
সহকারে বাড়িতে স্বাগত জানায় রাঙা। ভগবানের কাছে সবসময় রাঙা প্রার্থনা করে যাতে আহেরি ও আক্কু একসাথে থাকে সবসময়। এরপর রাঙা আহেরির জন্য নিজের হাতে করে শরবত বানিয়ে নিয়ে আসে। আহেরি আসার আনন্দে বাড়ির সবাই মেতে ওঠে। এখন দেখার অপেক্ষায় রাঙার জীবন কোন দিকে মোড় নেয়।