“অল্প বয়স, ঠিক করে জানেই না কোথায় কি হচ্ছে…” সৌমীতৃষার কার্নিভালে যাওয়া প্রসঙ্গে কী কটাক্ষ ছুঁড়লেন ‘ইচ্ছে পুতুল’ খ্যাত মৈনাক ?

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বারংবার উঠে এসেছে শিরদাঁড়ার প্রসঙ্গ। দিন কয়েক আগেই কলকাতা পুলিশের হাতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রতীকি শিরদাঁড়া তুলে দিয়েছিলেন। এরই মাঝে, বুধবার ছিল বিশ্ব শিরদাঁড়া দিবস। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, মেরুদণ্ড ছাড়া কোনও মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আজকাল দিব্যি শিরদাঁড়া বিক্রি করে দিয়েও মানুষ বেঁচে থাকতে পারছে। অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তের কথায় শ্লেষের সুর।‌

সৌমীতৃষার ‘মেরুদন্ড নেই’ কথায় মৈনাকের কটাক্ষ!

দেবলীনা বললেন, “স্বাস্থ্যের দিক থেকে দেখলেও, শিরদাঁড়া আছে মানে প্রাণ আছে। শিরদাঁড়া নেই মানে তাঁর প্রাণ নেই। ছোটবেলা থেকে শিখে এসেছি, শিরদাঁড়ার অর্থ জীবন।” তিনি আরো বললেন, “একটা মানুষ শিরদাঁড়া ছেড়ে বেঁচে থাকতে পারেন না। তবে ইদানীং দেখছি, শিরদাঁড়া নামক অঙ্গটি বিক্রিও করা যাচ্ছে।” শ্লেষের সুরে অভিনেত্রী আবারো প্রশ্ন তোলেন, “এ-ও সম্ভব?

বর্তমান পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে শিরদাঁড়া বিক্রি করে বেঁচে থাকা যায়। এটা কিন্তু প্রমাণিত তথ্য! প্রচুর শিরদাঁড়া বিক্রি হচ্ছে।” অভিনেত্রীর কথায় ‌ আরো শোনা যায়, “অর্থ ও যশের লোভে অনেকেই শিরদাঁড়া বিক্রি করছেন। কিন্তু তার পরেও তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে না।” দেবলীনা বলেন, “সেই সকল মানুষগুলো বেঁকে-তেড়ে অথবা ঝুঁকে চলাফেরা করছেন। মাটিতে মিশে গিয়ে কী ভাবে ওই অর্থ উপভোগ করছেন আমার জানা নেই।” তাই তির্যক সুরে অভিনেত্রী বলেছেন “তাই আমার মনে হয়, এই জীবনের থেকে তো মৃত্যু ভালো।”

এই মুহূর্তে, শিরদাঁড়া নিয়ে এই সৌমিতৃষা কুন্ডুর সাম্প্রতিক মন্তব্য সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে। অভিনেত্রীর বক্তব্য ছিল, ট্রোলিংয়ের ভয়ে সরকার আয়োজিত কার্নিভালে না গেলে বুঝতে হবে, সেই ব্যক্তির মেরুদণ্ড নেই। আর এই মন্তব্যের পর কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে অভিনেত্রীকে।

আরও পড়ুনঃ খারাপ খবর! বন্ধ হয়ে গেল টেলিভিশনের জনপ্রিয় তিনটি সিরিয়ালের শুটিং! ব্যাপক মনখারাপ দর্শকের

সৌমীতৃষার বক্তব্য প্রসঙ্গে ‘ইচ্ছে পুতুল’ খ্যাত অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমার মনে হয় ওর অল্প বয়স। ও এখনও ঠিক করে জানেই না হয়তো, কোথায় কী হচ্ছে।” নিজের মন্তব্য ধরে তিনি পাল্টা বলেন, “অবশ্য এটা বলাও ঠিক নয়। প্রত্যেক মানুষেরই নিজের মতো কথা বলার অধিকার রয়েছে। সে কোথায় যাবে, তা তার ব্যক্তিগত রুচি, সমাজবোধ, বিবেক ও পরিচয়ের উপর নির্ভর করে।”