বাংলা টেলিভিশনে জগতের বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলির মধ্যে অন্যতম স্টার জলসা (Star Jalsha)। এই মুহূর্তে, নতুনের আগমনে বিদায় নিচ্ছে চ্যানেলগুলির পুরনো ধারাবাহিক। টিআরপি (TRP) তালিকায় টপ টেনে স্থান ধরতে না পারার জন্য মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক ধারাবাহিক। আর এই আসা-যাওয়ার মাঝে স্টারের পর্দায় এসেছে এক ব্র্যান্ড নিউ সিরিয়াল ‘তোমাদের রাণী’। ধারাবাহিকের প্রোমো প্রকাশ্যে আসার পর তা নজর কেরেছিল ছোট পর্দার দর্শকের। একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার সফল ডাক্তার হওয়ার যে লড়াই দেখতে উৎসুক ছিলেন সিরিয়াল প্রেমীরা। সম্প্রতি ধারাবাহিকে চলচে টান টান উত্তেজনা।
দুর্জয় ও রাণীর মিষ্টি প্রেমের গল্পে আস্তে চলেছে নতুন অতিথি। খুব শিঘ্রী রাণী জানতে পারবে সে প্রেগন্যান্ট। এ কথা দুর্জয়কে জানালে, খুব খুশি হয় দুর্জয়। বাড়ির সবাইও বেশ খুশি হবেন। কিন্তু দুর্জয়ের মা ভাববে এরকম ভাবে সম্পর্ক এগোতে থাকলে, মেয়েটা আমার ছেলেকে বশ করে ফেলবে। অন্যদিকে, দুর্জয়ের বড় বউদি তাঁর মাকে বোঝায়, এভাবে যদি ও দুর্জয়কে হাত করে নেয় তাহলে দুর্জয় আর তাঁর মায়ের কোনো কথা শুনবে না।
দুর্জয়ের মা তাঁকে বোঝায় সে যেন রাণীর সঙ্গে বেশি মেলামেশা না করে। কিন্তু দুর্জয় সে কথা শোনে না। অন্যদিকে, রাণীর মা হওয়ার স্বপ্ন এখনও বরকারার। কিন্তু দুর্জয়ের বাড়ির লোক চায় না, গর্ভবতী অবস্থায় রাণী কলেজে যাক। কিন্তু, সবার কথা উপেক্ষা করেই রাণী পড়াশোনা চালিয়ে যায়। তাই দুর্জয়ের ভীষণ রাগ হয় রাণীর উপর। এর দশ মাস পর রাণী জন্ম দেয় তাঁর সন্তান।
সন্তান জন্মের পর রাণী তাঁর সন্তানকে তুলে দেয় দুর্জয়ের হাত। আর সন্তানকে কোলে নিয়ে বেজায় খুশি দুর্জয়। রাণীকে বলে, এই দিনটির জন্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছে সে। আজ তাঁর সব রাগ, অভিমান,কষ্ট দূর হয়ে গেছে। সে আরো বলে,”তুমি আমাকে জীবনের সেরা উপহারটা দিয়েছ। অনেক বকাবকি করেছি তোমায়। কিন্তু সবটাই তোমার ভালর জন্য। তবে আমি তোমার উপর রেগে নেই।”
এক মায়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের আবর্তে তৈরি হচ্ছে এই গল্প। ২০২৩-এ দাঁড়িয়েও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর মহিলাদের অনেক স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিতে হয়। প্রয়োজনে ছাড়তে হয় চাকরি । সমাজের এই নিয়মের ছক ভেঙে তাই বিপরীত স্রোতে হেঁটেছে রানি।