অনস্ক্রিনের ছোট থেকে ছোট বিষয়ের মধ্যে থাকে অনেক মানুষের একত্রিত একটি শক্তি। তবেই সেটা দর্শকের কাছে পৌঁছায়। যখন সবাই উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হয়, তখন তাঁদের ভাবতে হয় ওই উৎসবের দিনগুলোয় কিভাবে মানুষকে আরও একটু আনন্দ দেওয়া যায়। আর অবশ্যই আছে প্রতিযোগিতা। দিন শেষে সবাইই একটু ভালো জীবন যাপনের জন্য কাজ করে। কিন্তু এই বিনা শর্তে শুধুমাত্র মানুষকে বিনোদন দেওয়ার খাতিরে মাঝে মধ্যে বেশ বড়রকমের বলিদান করতে হয়। আর বলিদান দিতে না পারলে? সেই অভিজ্ঞতার শিকার হলেন অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখার্জি (Subhadra Mukherjee)।
এক্কা দোক্কা ধারাবহিক থেকে মাত্র কয়েক পর্বের পরই বাদ পড়ে যেতে হল। রাতারাতি পাল্টে গেল মুখ। কিন্তু কেন? কী কারণে! এমনিতেও এক্কা দোক্কা ধারাবাহিকে পুরোনো জুটি ফিরিয়ে আনার একটি চল দেখা যাচ্ছে। সেখানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে “মোহর” ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা জুটি প্রতীক সেন এবং সোনামণিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ডঃ অনির্বাণ গুহর চরিত্রে যুক্ত হয়েছেন প্রতীক। রাধিকার চরিত্রে আগে থেকেই ছিলেন সোনামণি।
ওদিকে প্রতীকের পিসিমার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুভদ্রা। কিন্তু সেই মুখ পাল্টে হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রী অনুশ্রী। তাহলে কী অনুশ্রী-সোনামণি-প্রতীক,এই ত্রয়ীকেই ফিরিয়ে আনার জন্য বাদ গেলেন অভিনেত্রী সুভদ্রা?
না! এই কারণে নয়। অভিনেত্রী সুভদ্রার কাছ থেকে জানা যাচ্ছে অন্য কথা। এই কারণটি শুনলে আপনার বু’কটি কেঁপে উঠবে। গত ৬ তারিখ অভিনেত্রী হারিয়েছেন তাঁর দুই বাবাকে। নিজের বাবা ও শ্বশুরমশাই দু’জনকেই। অভিনেত্রী জানান, “বাবা আমার শিক্ষাগুরু এবং বন্ধু ছিলেন। তিনি একজন অভিনেতা এবং পরিচালক। বাবার নাম শান্তিগোপাল মুখোপাধ্যায়। বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কয়েকদিন। তাঁর পেলভিক বোন ভেঙে গিয়েছিল। তারপর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে এসেছিলেন। আমি হাসপাতালে বাবার চিকিৎসা করাতে-করাতে শুটিং করেছি।”
তারপরই তাঁর বাবার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। আর সেইদিন বিকেলেই ৪ টে নাগাদ শ্বশুর মশাই গত হন। মানসিক দিক দিয়ে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সমস্ত কাজ মিটিয়ে শুট থেকে তিন দিনের জন্য ছুটি চেয়েছিলেন। কিন্তু তা দিতে না পারায় রাতারাতি তাঁর মুখ বদল হয়ে যায়।