রোশনাই এবার মহিষাসুরমর্দিনী! হাসপাতালে ত্রিশূল হাতে রণচণ্ডী তিয়াসা! গাঁজাখোররা স্ক্রিপ্ট লিখছে। হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়লেন দর্শকরা!

স্টার জলসার ‘রোশনাই’ (Roshnai) ধারাবাহিক বরাবরই সমালোচনার মুখে পড়েছে— কখনও আরণ্যকের দুই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে, কখনও বা চরিত্রের আকস্মিক মুখ বদল কিংবা প্লটের অযৌক্তিক টুইস্টের কারণে। দর্শকরা যতই বিরক্ত হোক, নির্মাতারা যেন ততই নাটকীয়তা বাড়িয়ে দেন। একে রোমান্সের মোড়কে ঢেকে কখনও নতুন প্রেমের তিক্ততা, তো কখনও সংসারের সংঘাত দেখিয়ে সিরিয়ালকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এবার প্রোমোর যা অবস্থা, তাতে দর্শকদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে!

নতুন প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, দুই নারীর হৃদয় নিয়ে খেলতে খেলতে নায়ক নিজেই হৃদরোগে আক্রান্ত। আরণ্যক হাসপাতালে ভর্তি, আর রোশনাই তার মাথায় ফুল ছোঁয়াতে চায়। কিন্তু সমস্যা বাড়ায় আরণ্যকের বাবা! আর তাতেই রোশনাই এমন রুদ্রমূর্তি ধারণ করে, যেন ওকাল বোধনের মা চণ্ডী স্বয়ং হাজির! মন্দিরের সামনে থাকা ত্রিশূল তুলে নিয়ে সে গর্জে ওঠে, “আমার স্বামীর কাছে আমি যাবই, দেখি কে আটকায়!” এই দৃশ্য দেখে ছোটু অবধি থতমত খেয়ে একটা পেন্নাম ঠুকে দেয়।

Roshnai, Star Jalsha, Bengali Serial, Sean Banerjee, Lekha Chatterjee, Tiyasha Lepcha, Gorima, Aranyak, today episode, রোশনাই, স্টার জলসা, বাংলা সিরিয়াল, আজকের পর্ব, সন ব্যানার্জি, লেখা চ্যাটার্জী, তিয়াসা লেপচা, গরিমা, আরণ্যক

দর্শকরা হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছেন, কারণ এই দৃশ্য আর যা-ই হোক, বাস্তবের ধারেকাছে নেই! সমাজ মাধ্যমে ভরে গেছে ট্রোল আর কটাক্ষে। কেউ লিখেছেন, “ডিভোর্স হয়ে গেছে না ওদের? আবার স্বামী হয় কিভাবে?” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “নেক্সট বিয়ের মেহেদি প্রোগ্রাম কবে?” কেউ আবার নাটকীয়তার মাত্রা দেখে হেসে লিখেছেন, “এই বছর মহালয়াতে মহিষাসুরমর্দিনী করবেন রোশনাই!” শুটিংয়ের সময় অভিনেতারা নিজেরাই যে কীভাবে হাসি আটকান, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন!

আরও পড়ুনঃ সুযোগ পেয়েও হতাশা! জনপ্রিয় হিন্দি সিরিয়ালে ডাক পেয়েও বাদ পড়লেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়! নেপথ্যে রয়েছে কি কারণ?

“শুটিংয়ের সময় এদের তো নিজেদেরই হাসি পাওয়া উচিত, এমন স্ক্রিপ্ট দেখে!” লিখেছেন একজন। “বিয়ে টা আসলে করছে কাকে?”— সন্দেহে পড়েছেন এক দর্শক। “এই সিরিয়াল টা আর নেওয়া যাচ্ছে না!”— বিরক্ত একজন মন্তব্য করেছেন।এক দর্শক ঠাট্টা করে লিখেছেন, “সিরিয়ালের একমাত্র মেডিসিন ফুল, তাও আবার গাঁদা!” আরেকজন তো কমেন্ট পড়তে পড়তেই বুঝে গেছেন, “শুধু আমি না, সবাই এটা ফলো করছে!”

এত কিছুর পরও নির্মাতারা কিন্তু দমে যাওয়ার লোক নন। গল্পে যদি কোনো যুক্তি না থাকে, তবুও তাঁরা নিশ্চিত করবেন যে নাটকীয়তা তুঙ্গে থাকে! এখন প্রশ্ন একটাই—এই নাটক আর কতদিন চলবে? প্লটের মোড় যতই অবাস্তব হোক, দর্শকদের হাসির খোরাক বন্ধ হবে না বলেই মনে হচ্ছে! ট্রোলের বন্যা চলতে থাকুক, তাতে নির্মাতাদের কিছু যায়-আসে বলে তো মনে হয় না! রোশনাই কি এবার সত্যিই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন?