কোর্ট কেস শেষে বাবার কাছে গেল রুপা! নতুন বছরে দীপা-সোনাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার প্রতিজ্ঞা লাবণ্যর! আজ ধামাকা পর্ব

এতদিন অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালে চলেছে কোর্ট কেস পর্ব তবে এবার মেয়েদের অধিকার পেয়ে গেল সূর্য এবং দীপা। অবাক করা কাণ্ড ঘটবে আজকের পর্বে।

আজকের পূর্বে দেখা যায় যে কোর্টের মুখ্য বিচারক সোনা এবং রুপাকে আলাদা করে ডেকে জিজ্ঞাসা করে যে তারা কার কাছে থাকতে চায়। সোনা জানায় সে বাবার কাছে থাকতে পারবে না বাবার কাছে গেলে সে মরে যাবে। সে মায়ের কাছে থাকবে। ওদিকে রুপা প্রথম থেকেই শোনার কথা শুনে ছিল তাই রুপা বুঝতে পেরেছে যে সোনা তার বাবাকে ভয় পায়। তাই সোনা যাতে খুশি থাকে তাই তাকে বাঁচানোর জন্য রুপা বাবার কাছে ফিরে যেতে চায়।

বিচারক সোনা এবং রুপার কথা অর্থাৎ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় সূর্য এবং দীপাকে। এতদিন ধরে বাবার কাছে বড় হবার পর কেন সোনা হঠাৎ মায়ের কাছে যেতে চাইলো সেটা ভেবে অবাক হয় সূর্য আর অন্যদিকে রুপা মায়ের সঙ্গে এত কষ্ট করার পর কেন হঠাৎ বাবার কাছে যেতে চাইলো বাবাকে পছন্দ না করা সত্ত্বেও সেটা ভেবে চিন্তায় ডুবে যায় দীপা। এরপর বাইরে রুপার সঙ্গে দেখা হয় দীপার। রুপা জানায় যে সে সব ঠিক করে দেবে। তবে দীপা মনে মনে চিন্তা করতে থাকে যে কি করে রুপা তাকে ছেড়ে থাকবে।

ওদিকে সেনগুপ্ত বাড়িতে রুপা ফিরে আসার খুশিতে যেন প্রাণ ফিরে এল গোটা বাড়িতে। তবে সূর্য বারবার একটা কথাই ভেবে অবাক হচ্ছে যে কেন সোনা তাকে ছেড়ে যেতে চাইল। রুপাকে প্রচুর উপহার দিয়ে ভরিয়ে দিতে চায় সূর্য কিন্তু রুপা বলে দেয় সে উপহার পেতে বা আনন্দ করতে এই বাড়িতে আসেনি। সবাই অবাক হয়ে যায়। তবে ছোট মেয়ের মুখে এমন পাকা পাকা কথা শুনে সূর্য বার বার তাকে বলতে থাকে যে এর সমস্তটাই সুশিক্ষার অভাব। এর মাঝে মিশকা নেমে আসে এবং রুপা তাকে দেখে প্রচন্ড রেগে যায়। বলে বাবা পচা আন্টির সঙ্গে মিশে মিশে বাজে হয়ে গেছে। একমাত্র সূর্যের বাবা প্রবীরবাবু তার রুপা দিদিভাইকে সাপোর্ট করে। লাবণ্য রুপার কথা শুনে এবং মিশকাকে হুমকি দেয় যে এবার সে যদি নিজের ঘরে না যায় তাহলে এক থাপ্পড় মেরে দাঁতকপাটি নড়িয়ে দেবে। মিশকা চলে যায়।

এরপর খাবার টেবিলে বসে রুপা এবং তার সামনে সাজানো থাকে বিভিন্ন রকমের সুন্দর পদ। তবে সে এগুলোর কোনটাই খেতে চায় না বরং সে চায় তার পাতে দেওয়া হোক রুটি আর আলু ভাজা। সবাই অবাক। রুপা বলে ছোট থেকে সে আত্মার মা বহুদিন মুড়ি খেয়ে কাটিয়েছে তাই সে অল্পতেই খুশি আর এই শিক্ষা তাকে তার মা দিয়েছে। সূর্য বলে জয়কে যে সে বাবা হিসেবে মেয়েদের সমস্ত খুশি দিতে চায় তাদের যেটা প্রাপ্য এবং বাবা হিসেবে সূর্যের কর্তব্য সেগুলো সমস্ত সে পূরণ করতে চায়। সে চায় তারা ভালো শিক্ষা পাক ভালো স্কুলে পড়ুক বড় মানুষ হোক এবং বিলাসময় জীবন যাপন করুক। লাবণ্য রুপাকে বোঝাতে চাই যে, সে নিজের হাতে খাইয়ে দেবে যেটা সে খেতে চাইবে কিন্তু রূপা বলে সে এত খাবার অভ্যাস করবে না কারণ এর পরে কোনদিন আবার বাবা এবং দিদিভাই তাকে আবার তাড়িয়ে দেবে। অবাক হয়ে যায় সূর্য। যদিও সূর্য রুপার কথা ভাবেনা বরং সে নিজের মনের কথাই বলে চলে এবং পরের দিন তার মাকে বলে বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করতে যাতে সবাই জানে যে মেয়ে ফিরে আসার খুশিতে সূর্য সেনগুপ্ত কতটা খুশি। ওদিকে মেয়ের চিন্তায় আধমরা হয়ে যায় দীপা এবং সেনগুপ্ত বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করে সে রুপা ফিরে আসবে আবার এই ভেবে। ওদিকে পথে অর্জুন তাকে দেখে ফেলে এবং সেখানে অর্জুন তাকে সাহায্য করতে ছুটে আসে। দীপার মনে নানারকম ভয় হতে থাকে এবং অবশেষে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।