মাথায় আঘাত লাগায় সমস্ত স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছে সন্ধ্যা। নিজ পরিবার থেকে শ্বশুরবাড়ির মানুষজন কাউকেই চিনতে পারছে না সে। ঘটনাচক্রে আকাশনীলের সঙ্গে মন্দিরে বিয়ে হয়েছে সন্ধ্যার। নতুন বউ রূপে বিজয়া মাঠানের বাড়িতে পা রাখে সন্ধ্যা। যদিও মনে মনে একটুও শান্তি পায় না সে। বারবার সে চেষ্টা করতে থাকে তাঁর আসল পরিচয় জানার। আর এই খোঁজ করতে করতেই মোক্ষম সূত্র পেল সন্ধ্যা। আসল সত্যির হদিশ পেতে এবার সে হাজির হলো ঘটকের বাড়ি।
বিজয়া মাঠানের বাড়িতে ঘটক মশাইয়ের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয় সন্ধ্যার। সন্ধ্যাকে দেখেই ঘটক বলে ফেলে এর আগেও সন্ধ্যা তাঁর উপর মারমুখী হয়েছে। আর এটা শুনে সন্ধ্যা ধারণা করতে থাকে যে এই ঘটক নিশ্চয়ই তাঁর বিষয়ে কিছু জানে। ঘটকের থেকেই সন্ধ্যা তাঁর আসল পরিচয় পেতে পারে। আর সেই সমস্ত কথা ভেবে ঘটকের বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে সন্ধ্যা। সে ঠিক করে ঘটকের বাড়ি গিয়ে মুখোমুখি তাঁকে জেরা করতে হবে। তবেই সত্যি জানা যাবে।
আরো পড়ুন:শেঠজীর কাছ থেকে ফিরে চরম অপমানের মুখে শ্রাবণ! ওমকে চুপ করিয়ে শ্রাবণের হাতে সমস্ত সম্পত্তি তুলে দিলেন দাদু
এদিকে, সন্ধ্যা অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর পরিবারের কল্যাণে বাড়িতে পুজোর আয়োজন করেছে বিজয়া মাঠান। সন্ধ্যা যাতে পুজোয় অংশগ্রহণ করে তাঁর জন্য ঘরে গিয়ে সন্ধ্যার হাতে নতুন একটি শাড়ি দিয়ে আসেন তিনি। সন্ধ্যা হাসিমুখে শাড়িটি নেয়। আর ঠিক করে এই শাড়ি দিয়েই নিচে পালিয়ে ঘটকের বাড়ি যেতে হবে তাঁকে। সন্ধ্যা শাড়িটি খাটের সঙ্গে বেঁধে জানলা দিয়ে পালায় আর সোজা হাজির হয় ঘটকের বাড়ি।
ঘটকের বাড়ি গিয়ে সন্ধ্যা সরাসরি তাঁকে প্রশ্ন করে “বলুন বলুন আমার বিষয়ে যা জানেন এক্ষুনি বলুন।” সন্ধ্যার উদ্দেশ্য শুধু নিজের অতীত সম্পর্কে জানা নয়, তারার শ্বশুরবাড়ি কোথায়, তারার কার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তাও জানতে প্রশ্ন করে সন্ধ্যা। এদিকে ঘটক পড়ে মহা ফ্যাসাদে। সে ভাবতে থাকে প্রধান মশায় তো বারণ করেছে তাঁকে তারার বর সম্পর্কে কাউকে জানাতে। এখন সে কিভাবে উত্তর দেবে সন্ধ্যাকে!
এদিকে সন্ধ্যাও ছাড়ার পাত্রী নয়। ঘটকের পেট থেকে সমস্ত কথা বের করবেই সে। এর মধ্যে, সন্ধ্যার বাড়ির সবাই জেনে যায় কোথায় যেতে পারে সন্ধ্যা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সন্ধ্যা ছোটাছুটি করছে জেনে চিন্তিত হয় আকাশনীল। আদৌ কি সন্ধ্যা জানতে পারবে তাঁর অতীত সম্বন্ধে? ফিরে আসবে কি তাঁর স্মৃতি? সমস্ত উত্তর মিলবে নতুন পর্বে।