অভিনয়ের জন্য ছেড়েছিলেন চাকরি, আত্মপ্রকাশ ‘টুম্পা অটোওয়ালি’ (Tumpa Autowali) দিয়ে। এরপর মাত্র চার মাসের ব্যবধানে শেষ হয়েছিল তাঁর দ্বিতীয় ধারাবাহিক। সেটা শেষ হতে না হতেই, ঠিক মাস দুয়েকের মধ্যেই শুরু হয়ে অন্যটি। সদ্যই শেষ হয়েছে সেই ধারাবাহিকও, সেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘নন্দিনী দত্ত’ (Nandini Dutta) এর সঙ্গে রোম্যান্টিক জুটি হিসেবে। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অভিনেতা ‘সায়ন বোস’ (Sayan Bose) কে নিয়ে, যাঁর টানা ব্যস্ততা আর পর্দায় দাপট দেখে এখন অনেকেই বলছেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকদিন পরে এমন নায়ক এলো, যা অনেকের কাছে রীতিমতো ঈর্ষণীয়!’’
প্রথমে ধারাবাহিকেই ‘মোহনা’ (Mohana Maiti) সঙ্গে রসায়ন জমিয়ে, জায়গা করে নেন দর্শকমনে। তারপর পরবর্তী ধারাবাহিকে অভিনেত্রী বদল হলেও, তাঁর অভিনয় এবং অভিনেত্রীর সাথে রসায়ন বরাবরের মতোই মন জিতে নিয়েছে সবার। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, যে অভিনয়ে তাঁর ধারাবাহিকতা আর অনস্ক্রিন ক্যারিশমা একেবারেই অন্যরকম। প্রতিটি ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্র আলাদা, কিন্তু প্রতিবারই সেই চরিত্রকে নতুন করে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছেন সায়ন।
কখনও পারিবারিক আবহে আদর্শ স্বামী, কখনও বা সম্পর্কের টানাপোড়েনে আবেগী পুরুষ, প্রতিটি রূপেই তিনি সমান গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন দর্শকদের কাছে। আর এবার সেই জনপ্রিয়তাকেই নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চলেছেন তিনি। স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’ (Raj Rajeshwari Rani Bhavani) -তে তাঁকে দেখা যাবে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। প্রথম প্রোমোতে বাজিমাত করেছে স্টার জলসা। আর সেই প্রোমোতে ‘রাজনন্দিনী পাল’ (Rajnandini Pal) এর রাজকীয়তায় দর্শকরা মুগ্ধ।
আর এবার জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই তাঁর বিপরীতে এসে বড়সড় চমক দিতে চলেছেন একজন দাপুটে নায়ক। আর সেই চমকেই সায়ন বোস! রাজনন্দিনী পালের রূপে ইতিমধ্যেই দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে এই চরিত্র। অন্যদিকে, ধারাভাষ্যে সব্যসাচী চক্রবর্তীর কণ্ঠে উঠে এসেছে ১৭৪৮ সালের বাংলার ঐতিহাসিক পটভূমি, রাণী ভবানীর আত্মপ্রকাশ আর সাহসিকতার কাহিনি। আর এই ঐতিহাসিক কাহিনিকে আরও গভীরতা দিতে সায়নের আগমন নিঃসন্দেহে সাফল্য আনতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ জগতে কেউ নিষ্কলঙ্ক নয়! তুই সব দিক থেকে সুন্দর—মায়ের এই উপদেশেই সমস্ত কটাক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস !
স্টার জলসার দাবি, এটি তাদের মেগা প্রোজেক্ট। তাই নায়ক-নায়িকা উভয়ের ক্ষেত্রেই বেছে নেওয়া হয়েছে এমন মুখ, যারা স্ক্রিনে আভিজাত্য আর আবেগ—দুটোই সমান দক্ষতায় পরিবেশন করতে পারেন। সায়ন বোস সেই তালিকায় উপযুক্ত নাম। দর্শকদের একাংশ ইতিমধ্যেই সমাজ মাধ্যমে দাবি তুলেছেন, “সায়ন-রাজনন্দিনী জুটি দেখতে চাই প্রাইম টাইমে।” ইতিমধ্যেই জল্পনা তুঙ্গে, আর দর্শকের প্রত্যাশাও আকাশছোঁয়া। এই জুটি নতুন কী ম্যাজিক নিয়ে আসে, তা দেখার অপেক্ষায় এখন বাংলা টেলিপাড়া!