সিরিয়ালের দুই ‘দয়ার সাগর’! অতি ভালোমানুষি দেখিয়ে অবাস্তব গল্প টানছে দীপা-শিমূল

একজন তাঁর খুনিকে বাঁচাতে পুলিশের কাছে জবানবন্দি বদলাচ্ছে। অন্যজন, খাল কেটে জেল থেকে সতীনকে নিয়ে আসছে। কেন? সে প্রেগনেন্ট অবস্থায় জেলে ঠিকঠাক যত্ন আত্তি পাবে না। এ হেন ভালমানুষির সাক্ষী থাকল বাংলা সিরিয়ালের দর্শক। একজন হলেন বেঙ্গল টপার ‘কার কাছে কই মনের কথা’-র (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমূল। অন্যজন হলেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) দীপা।

এই মুহূর্তে দুই ধারাবাহিকই চলছে টান টান উত্তেজনা। সূর্য দীপা ও মিশকার সম্পর্কে টানাপোড়েন নিয়ে রমরমিয়ে চলছে অনুরাগের ছোঁয়া। টিআরপি তালিকায়ও এক নম্বরে ছিল বেশ কয়েকবার। প্রতি এপিসোডেই গল্পে আসছে নয়া টুইস্ট। যাকে বলে একেবারে জমে ক্ষীর।

জেল থেকে মিশকাকে ছাড়িয়ে আনে সে। মিশকার গর্ভে রয়েছে দীপার স্বামী সূর্যের সন্তান। তাঁর স্বামীর স্পার্ম চুরি করেই অন্তঃসত্ত্বা। হয়েছে মিশকা। সমস্ত রকম টেস্টের মাধ্যমে তা নাকি প্রমাণিত। আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হয়েছে সে। সমস্ত রকম টেস্টের মাধ্যমে তা নাকি প্রমাণিত। এমতাবস্থায়, মিশকাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে তাঁর সেবা করতে তাঁকে নিজের শ্বশুর বাড়িতে এনে তুলেছে দীপা। তাঁর এই খাল কেটে সতীন আনাকে কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনদের অধিকাংশ।

অন্যদিকে, দশমীর দিন সিঁদুর খেলার মেতে ছিল শিমুল। হঠাৎই বিপাশা তাকে এসে বলে বিসর্জনে নাকি সারপ্রাইজ আছে। কিসের সারপ্রাইজ? সিদ্ধি। যা শুনে আরো আনন্দে মেতে ওঠে শিমুল। কিন্তু আড়াল থেকে তাঁর দেওর পলাশ ও স্বামী পরাগ সিদ্ধিতে বিষ মিশিয়ে দেয়। পরেক্ষণই দেখতে পাওয়া যায়, সিদ্ধি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় শিমুল।

আরও পড়ুনঃ দর্শকদের জন্য সুখবর! ফের পর্দায় ফিরছে সোনামনি-প্রতীক

তদন্ত করতে পুলিশ এল শিমূল সব কিছু জেনেও পরাগ ও পলাশকে বাঁচিয়ে দেয়। সবকিছু জানার পরও মুখে কুলুপ শিমূলের। বদলে দেয় জবানবন্দি। দর্শক ভালমানুষি বা বোকামি যাই বলুন না কেন! দুই বেঙ্গল টপারের একটিও তাঁরা দেখা বন্ধ করবেন না। তাই হয়তো টিআরপি তালিকার শীর্ষে দুই ধারাবাহিকই। আর তালিকার ফলাফলই দর্শকদের আসল ভালবাসার হিসেব।