জি বাংলার কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের কাছে অন্যতম হট ফেভারিট একটি ধারাবাহিক। বাংলা টেলিভিশন প্রেমীরা এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিক মজে রয়েছেন সেটা বলাই বাহুল্য। আসলে গল্পের মধ্যে যদি উত্তেজনা থাকে তাহলে সেই গল্প হিট হবেই।
আর সেটাই হয়েছে কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের কাছে এই ধারাবাহিকের গল্প বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। মাঝে কয়েক সপ্তাহ টিআরপি তালিকাতেও দারুণ রকম প্রভাব ফেলেছিল এই ধারাবাহিকটি। কিন্তু হঠাৎ করেই এই ধারাবাহিকের টিআরপি নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। চলতি সপ্তাহেও টিআরপিতে প্রথম পাঁচে জায়গা করতে পারেনি মানালি দে অভিনীত এই ধারাবাহিকটি।
তবে এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের গল্পে যে উত্তেজনা বা চাঞ্চল্যের অভাব রয়েছে তা কিন্তু একেবারেই নয়। গল্প কিন্তু বেশ দুর্নিবার গতিতেই ছুটে চলেছে। আর গল্পের বর্তমান গতি প্রকৃতি দেখে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে হয়ত এই ধারাবাহিক টিআরপি তালিকায় আবারও প্রথম পাঁচে উঠে আসতে পারে।
সাম্প্রতিক পর্ব অনুযায়ী শিমুল সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছে গয়না চুরি কান্ডে আসল দোষী পরাগ এবং প্রিয়া। শুধুমাত্র প্রমাণের অভাবে পলাশ আর প্রতীক্ষা বেঁচে গেছে। শিমুল সবার কাছে প্রমাণ করে দেয় যে সে কোনও অপরাধ করেনি। শিমুলের মহাপাল্টিবাজ শাশুড়ি মধুবালা নিজের ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার কোনও মুখ নেই। যদিও শিমুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে সে আর এই বাড়িতে থাকবে না। পরের দিন সকাল হতেই শিমুল নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নেমে আসে। আর শিমুল বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে দেখে ভয় পেয়ে যায় মধুবালা।
যদিও ঢং করে সে বলতে থাকে শিমুল হয়ত পরাগকে ছাড়িয়ে আনতে যাচ্ছে। যদিও শাশুড়ির মুখের ওপরে জানিয়ে দেয় এত অপমান সহ্য করে সে আর এই বাড়িতে থাকবে না। সে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও মধুবালা নিজের স্বার্থে শিমুলকে এই বাড়িতে আটকে রাখতে চায়।
মধুবালাভাবে তার কান্নাকাটি আর মন গলিয়ে দেওয়া কথা শুনে শিমুল থেকে যাবে। তখন শিমুল মধুবালাকে বলে, “আমি আমার বাকি জীবনটা শতদ্রুর হাত ধরে ওর সঙ্গেই কাটাতে চাই। আর খুব তাড়াতাড়ি পরাগকে ডিভোর্স দিয়ে মুক্ত হতে চাই এই জীবন থেকে। আমার এই বাড়িতে দমবন্ধ হয়ে আসে।”