সুধার সব সত্যি জেনে, বসু মল্লিক পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে বিয়েতে রাজি হল তেজ! এবার সুধাকে কোন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে?
বর্তমানে সুধা এবং তেজের বিয়ের ট্র্যাকটি ধারাবাহিকে (Subho Bibaho) এসেছে, যা দর্শকদের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। সুধা তার অতীতের কথা জানাতে চেয়েছে বারবার। সুধার মনে হয়েছে তেজ এই বিষয়ে অবগত। তবে বিয়ের আগে তেজের জন্য একটি চিঠি লিখেছে সুধা। সেখানে সুধা সমস্তটা জানিয়েছে।কিন্তু ও বিয়ের আগে কি সেই চিঠি আদেও পৌঁছাবে তেজের হাতে। এই নিয়ে চিন্তায় রয়েছে সুধাও।
শুভ বিবাহ ধারাবাহিকের (Subho Bibaho) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, সুধার সাথে একান্তে কথা বলতে গেছে তেজ। এদিকে বাইরে সবাই চিন্তিত তাকে নিয়ে। যে বিয়ের আগে এত কি কথা বলছে তেজ। অনেকেই বলে যে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেই তো কথা হয়ে যাবে তাহলে এখন আবার কেন। কিন্তু ঠাম্মি সকলকে চুপ করিয়ে দিয়ে বলে যে আমার নাতি যা করছে সেটা ঠিক ভালোর জন্যই করছে। সবাই এখানে দাঁড়াও চুপ করে। তড়িতা মনে মনে ভাবতে থাকে এখনো যে কেন বিয়েটা ভাঙছে না বুঝতে পারছিনা। কখন এসে দাদাভাই বলবে সে এই বিয়েটা করতে চায় না এই অপেক্ষা আর সহ্য হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, তেজ সব সত্যি জেনে চেঁচামেচি করতে থাকে সুধার ওপর। তেজ জানতে চায় কেন সুধা তাকে ঠকিয়েছে। সুধা বলে যে আমি আপনাকে ঠকাতে চাইনি। এদিকে সুধা তড়িতাকে দেখে বলে যে আমি তো তড়িতাকে সব বলেছিলাম। তখন তেজ তড়িতার থেকে জানতে চায় যে তুমি জানতে সবটা। কিন্তু তড়িতা সবকিছু অস্বীকার করে। সুধা ভাবতে থাকে কেন কেউ সত্যি স্বীকার করছে না। আবার তেজ বলতে থাকে যে কেন সুধা তুমি আমাকে এমন ভাবে ঠকালে। তড়িতা বলে তুমি আর একে পাত্তা দিও না।
এদিকে, তেজের মা চিন্তিত হয়ে পড়ে তেজকে নিয়ে। তেজের সাথে যেন কিছু খারাপ না হয় এই ভাবতে থাকে তেজের মা। ওর বিয়েটা যেন আজকের ভালোয় ভালোয় হয়ে যায়। এদিকে তেজের মা বাড়ি থেকে তেজের বাবাকে ফোন করে এদিকে সবকিছু ঠিক আছে কিনা জানার জন্য। দেরি করতে থাকে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত অতিথিরা বলতে থাকে এই বিয়েটা আদেও হবে তো। ইমন তেজকে বলে চারিদিকে এত লোকজন, তুমি যদি বিয়ে করতে চাও আমি তোমাকে বিয়ে করতেছি রাজি আছি। তেজ নিচে নেমে এসে দেখে প্রচুর অতিথি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।
আরও পড়ুন: অনির্বাণের প্রতি রাইয়ের পিরিত দেখে গা জ্বলছে শৌর্য্য ভক্তদের! বেশ হয়েছে বলছেন নেটিজেনরা
তেজ আবার আসে সুধার কাছে। বলতে থাকে আপনি আমাকে বিয়ে করবেন না সেটা জানি তবে ডিভোর্সী মানে এই মানুষটা ঠিক নয় এটা ভাবা ভুল। আমি অত্যাচার, মারের মধ্যে দিয়ে গেছি আমি জীবনটা তো সুখে ছিলাম না। তাই আমি জীবনটা থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। আমি কি খুব অন্যায় করেছি আমার তা মনে হয় না। বাইরে আমি সবাইকে কি বলবো এইভেবে তেজ আরো রেগে যায়। এদিকে ইমন কনের সাজে সাজাতে থাকে নিজেকে। ইমন ভাবতে থাকে কিভাবে বসু মল্লিক পরিবারের সকলকে নাচাবে তেজকে বিয়ে করে। ঠাম্মি বলে তেজ এই বিয়ে করবে আমি জানি। ঠাম্মির মুখে এমন কথা শুনে তেজ ঠিক করে, পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে সুধাকে বিয়ে করবে। সুধাকে বলে আপনি যে ভুল করেছেন তার শাস্তি আপনি পাবেন সে শাস্তিটা হচ্ছে আমাদের বিয়ে। এরপর সুধাকে কি শাস্তি দেয় তেজ তা জানতে দেখতে হবে শুভ বিবাহ (Subho Bibaho) ধারাবাহিকটি।