সিরিয়ালের জগতের সঙ্গে মানুষ একাত্মবোধ করে অনেকটাই তার কারণ সোম থেকে রবি তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময় আমরা দেখতে পাই আর রোজ দেখতে দেখতে তারা আমাদের ঘরের ছেলে মেয়ে হয়ে যায়। তাই তারা কী পুরস্কার পেল না পেল সেই নিয়ে আমরা তর্ক-বিতর্ক করে থাকি।

এক মাস আগে টিভির পর্দায় টেলিকাস্ট হয়েছিল জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড আর সেই নিয়ে সেইসময় বিতর্ক কম হয়নি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল যেমন সেরা শ্বশুর কী করে সমরেশ পেতে পারে, সেরা ভাসুর কী করে সোম পেতে পারে, মিঠাই পরিবার একাই কেন ১৭টা অ্যাওয়ার্ড পেল। প্রচুর তর্ক বিতর্ক হয়েছিল এবং স্টার জলসার ভক্তরাই জি বাংলার ভক্তদেরকে অনেক অপমান করেছিল।

গতকাল টিভিতে সম্প্রচারিত হয়েছে স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ড আর তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বইছে বিতর্কের বন্যা যা কিন্তু যা কিন্তু জি বাংলার সময় হয়নি।স্টার জলসার দর্শকরাই বলছেন যে স্টার জলসার ইতিহাসে এত ফালতু অ্যাওয়ার্ড শো আগে হয়নি।

বেশিরভাগ মানুষের মতে যারা কালকের অ্যাওয়ার্ড শো দেখেছেন তারা বলছেন যে প্রেজেন্টেশন দুর্ধর্ষ ছিল, নাচে গানে ভরপুর ছিল অ্যাওয়ার্ড শো কিন্তু অ্যাওয়ার্ডের দিক থেকে স্টার জলসা দশে শূন্য পাবে।


অ্যাওয়ার্ডেল দিক থেকে অনেক যোগ্যদের বঞ্চিত করে কেবলমাত্র গাঁটছড়া আর মনফাগুনকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অনেকের মত।অনেকে আবার বলছেন যে মন থাকুন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পপুলার চয়েসে, এটা যদি জুরি বিভাগে হত তাহলে কিছুই পেতনা। বিহানকে সেরা জামাই কী করে দেওয়া হলো মানুষ সেটা বুঝতে পারছেন না। সেরা খলনায়িকার পুরস্কার পাননি দেবিনা এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না কেউই।একসময় স্টার জলসায় দুর্ধর্ষ টিআরপি দেওয়া বরণ আর খেলাঘর থেকে সেরকম ভাবে কেউ অ্যাওয়ার্ডই পেল না পূর্ণা ছাড়া। এরকম আরো প্রচুর নিদর্শন আছে যেগুলো আমরা আপনাদেরকে জানাব।

সব মিলিয়ে স্টার জলসা অ্যাওয়ার্ড এর ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ দর্শকরা। জি বাংলার ভক্তরা তো স্বাভাবিক ভাবেই স্টার জলসার ভক্তদের ট্রোল করবেন কিন্তু যেভাবে স্টার জলসার নিজের ভক্তরাই স্টার জলসা অ্যাওয়ার্ডকে দোষারোপ করছেন তাতে স্পষ্ট যে কোথাও গিয়ে তো তাল কেটেছে।অনেকেই বলছেন যে এক একটা ক্যাটাগরিতে ৩-৪ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে কিন্তু যারা যোগ্য তাদেরই দেওয়া হয়নি এটা তো হরির লুটের মত অ্যাওয়ার্ড বিতরণ হয়েছে। সব মিলিয়ে স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ড কে আপনি কতো দেবেন এক থেকে দশের মধ্যে?








‘একই লোকের সঙ্গে দশ বছর সংসার, সুস্থ মানুষ পারে নাকি!’ ‘এতদিন একই স্বামী অসম্ভব, পাগলামির লক্ষণ!’ বিবাহিত জীবন নিয়ে বন্ধু সৌমিলিকে মজার খোঁচা গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর!