জিষ্ণুকে দেখে ফের রেগে গেল নীল! ‘জিষ্ণুকেও ধন্যবাদ দাও!’ মেঘের কথা শুনে স্তম্ভিত নীল

এই সময় দাঁড়িয়ে জি বাংলার পর্দায় যে ধারাবাহিকটি দর্শকদের প্রতিটা দিন মনোরঞ্জন করে চলেছে সেই ধারাবাহিকটির নাম ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) । যে জায়গায় দাঁড়িয়ে কোনও ধারাবাহিক ৪-৫ মাস চলার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা টিআরপি তালিকায় ধুঁকছে সেখানে দাঁড়িয়েও দিনে দিনে টিআরপি তালিকায় নম্বর বাড়িয়ে যাচ্ছে ইচ্ছে পুতুল। স্লট লিড করছে।

একটা সময় দর্শকদের চোখে অত্যন্ত একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল এই ধারাবাহিকটি। আর দর্শকদের যাতে ভালো লাগে সেই জন্য‌ই ধীরে ধীরে গল্প পাল্টায় এই ধারাবাহিকের। আর এই ধারাবাহিকের গল্প পরিবর্তন হতেই কামাল হয়ে যায়। প্রথমদিকে সমস্ত অপমান, অপবাদ, অভিযোগ মুখ বুঁজে সহ্য করলেও এই ধারাবাহিকের নায়িকা মেঘ প্রতিবাদী হয়ে উঠতেই দর্শকদের এই ধারাবাহিকের প্রতি ভালোলাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়।

মেঘ প্রতিবাদী হতেই এই ধারাবাহিক দেখার প্রতি দর্শকরা বিশেষ আগ্রহ অনুভব করছেন। এই ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্ব দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেছেন বাঙালি দর্শকরা। দীর্ঘদিন ধরে যে পর্ব দেখার জন্য দর্শকরা মুখিয়ে ছিলেন সেই পর্ব কিছুদিন আগেই সম্প্রচারিত হয়েছিল। যেখানে দেখা যায় যে মেঘকে এতদিন যাবৎ সৌরনীলের পুরো পরিবার ভুল বুঝে এসেছে, অপমান করেছে, প্রতিটা পদে অপদস্থ করেছে তারাই এখন ক্ষমা চেয়ে মেঘকে সসম্মানে নিজেদের বাড়ির বউ করে নিয়ে যেতে চায়।‌

আসলে নোংরা রূপের আসল চেহারা সবার সামনে নিয়ে এসে তার মুখোশ খুলে দিয়েছে মেঘ। গিনির সঙ্গে রূপের বিয়ের আগে বার বার মেঘ রূপের আসল চেহারা সবার সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করলেও কোনভাবেই সেটা সম্ভব হয়নি। উল্টে ময়ূরীর ষড়যন্ত্রে সবাই মেঘের চরিত্র নিয়ে টানাটানি করে। বাদ যায়না মেঘের স্বামী সৌরনীলও। সেও ময়ূরীর কথায় প্রভাবিত হয় মেঘকে চরিত্রহীন ভাবে।

কিন্তু শ্বশুরবাড়ির করা সমস্ত অপমানের কথা একটা বারের জন্য ভুলে গিয়ে মেঘ নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ননদ গিনিকে রূপের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আর তারপরেই ময়ূরীর ষড়যন্ত্রের কথা সবার সামনে চলে আসে। আর যারা মেঘকে চরিত্রহীন, কেলাস, অসভ্য এইসব বলেছিলেন তারাই এখন আবার মেঘকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

এরই মধ্যে গিনি আর রূপের কেস কোর্টে ওঠে।আর ফের গিনির পাশে দাঁড়ায় মেঘ। সে সাক্ষ্য দিতে আসে। সেখানেই আবারও নীলের সঙ্গে দেখা হয় মেঘের। ‌‌তখন নীল মেঘকে দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে তোমাকে সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু তোমাকে ডিভোর্স দেবো না। এরপরই বলে আমি খুব খুশি হয়েছি তুমি আমাদের পাড়ার অনুষ্ঠানে গান গাইতে আসবে শুনে। কিন্তু এসবের মাঝেই সেখানে উপস্থিত হয় জিষ্ণু। আর তাকে সেখানে দেখে মেঘ তাকে ডাকে।

জিষ্ণু কে মেঘের সঙ্গে একেবারে সহ্য করতে পারেনা সৌরনীল। এর আগে বিভিন্ন সময়ে সে জিষ্ণুর গায়ে হাত তুলেছে তাকে সবার সামনে অপমান করেছে। কোর্টেও জিষ্ণুকে দেখে যথেষ্ট বিরক্ত হয় নীল এবং মেঘকে বলে জিষ্ণু কি কখনই তোমাকে একা ছাড়ে না। সব সময় তোমার সঙ্গে চলে আসে। এরপর জিষ্ণুকে বলে জিষ্ণু তুমি এখানেও চলে এসেছ? এরপরই মেঘ নীলকে বলে কেন ওর তো আসার‌ই কথা! ও তো তোমার বোনকে বাঁচাতে সাহায্য করেছিল ও তো সাক্ষী দেবে। আমাকে ধন্যবাদ দিলে আর ওকে ধন্যবাদ দেবে না? মেঘের মুখে এই কথা শুনে স্তম্ভিত সৌরনীল ধন্যবাদ জানায় জিষ্ণুকে।