বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের অন্যতম জনপ্রিয় চ্যানেল স্টার জলসা (Star Jalsha) । এই চ্যানেলটি বাংলা ধারাবাহিকের খোলনচে অনেকটাই বদলে দিয়েছিল। চলো পাল্টাই স্লোগান তুলে এই চ্যানেলটি মন জিতে নিয়েছিল আপামর বাঙালি দর্শকদের। গুটি গুটি পায়ে স্টার জলসা পার করে ফেলল ১৫ বছর।
আর এই বিশেষ দিনে দর্শকদের ফিরতি উপহার হিসেবে একটি নতুন ধারাবাহিক নিয়ে আসছে চ্যানেল। ৮ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আসছে ‘তোমাদের রানি’। সুশান্ত দাসের প্রযোজনা সংস্থার এই ধারাবাহিকের আগাম উদযাপনে শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে উপস্থিত হয়েছিলেন চ্যানেলের কর্তাব্যক্তিরা। টেন্ট প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার সুশান্ত দাস আসন্ন ধারাবাহিকের নবাগত নায়ক-নায়িকা অর্কপ্রভ রায় ও অভিকা মালাকারের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দেন।
নারী স্বাধীনতার গল্প বলতে আসছে এই ধারাবাহিকটি। উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে একজন হবু মায়ের নিজের স্বপ্নপূরণ এবং জীবন যুদ্ধের গল্প দেখানো হবে।গর্ভাবস্থার একেবারে অ্যাডভান্স স্টেজে নিজের স্বামীর বারণ সত্ত্বেও মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা দিতে আসে মেয়েটি। এন্ট্রান্স এক্সাম দেবে সে। যদিও তার আগে তার বর তাকে পরীক্ষায় বসতে নিষেধ করেছে। কিন্তু মেডিকেলে চান্স পেয়ে সে দেখিয়ে দেয় নিজের স্বামীকে। তার মতে একজন মেয়ে শুধুমাত্র একটি কাজ নয় একসঙ্গে সব কাজ করতে পারে।
এদিন অবশ্য চ্যানেলের মুখ হয়ে এসেছিলেন স্টার জলসার ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করা দুই নামী তারকা সন্দীপ্তা সেন ও তৃণা সাহা। স্টার জলসা চ্যানেলের ধারাবাহিক ‘দুর্গা’ আজও সন্দীপ্তার নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে। একই ভাবে তৃণা পরিচিত ‘গুনগুন’ নামে! দুই তারকাই কৃতজ্ঞ চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে। দুর্গা ধারাবাহিক দিয়ে পথ চলা শুরু করেছিলেন সন্দীপ্তা। তার অভিনয় জীবনও পার করলো ১৫ বছর। জলসার প্রথম ধারাবাহিক ছিল দুর্গা। অন্যদিকে খোকাবাবু ধারাবাহিক দিয়ে জলসার পর্দায় প্রথম অভিনয় জীবন শুরু করেন তৃণা। দুজনেই অভিকা এবং অর্কপ্রভকে তাদের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।
পর্দার রানীর স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার হলেও বাস্তব জীবনে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চান অভিকা। শিলিগুড়ির এই মেয়ে কিন্তু এখনও স্কুলে পড়ে। অন্যদিকে অর্কপ্রভ একজন অভিনেতাই হতে চেয়েছিলেন। এর জন্য বেশ ভালো রকমের স্ট্রাগল করতে হয়েছে তাকে। অবশেষে মিলেছে সুযোগ। পর্দায় সম্পর্ক খুব একটা ভালো না হলেও বাস্তব জীবনে কিন্তু এই দুজনের মধ্যে দারুন বন্ধুত্ব। দুজনেই কিন্তু ভীষণ হাসিখুশি।