অর্জুন নয় সূর্যকেই ভালোবাসে দীপা! ইরাকে বিয়ে করে অসুখী সূর্য‌ও, ‘অনুরাগের ছোঁয়ায়’ কবে লাগবে ভালোবাসার রং?

স্টার জলসার (Star Jalsha ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) ‘। প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিক দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিল। সূর্য-দীপার ভালোবাসার গল্প এক সময় বেঙ্গল টপারের শিরোপা অর্জন করে। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে সূর্য দীপার মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। ভুল বোঝাবুঝি, মান -অভিমানের সীমারেখা আলাদা করেছে দুজনকে। তবুও যেন একে অপরের মন জুড়ে তাঁরাই।‌ বাহ্যিকভাবে আলাদা হলেও, মন থেকে কি আলাদা হতে পেরেছে সূর্য-দীপা? ‌

আইনত বিচ্ছেদের পর দীপাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছে সূর্য। সেখানেই তার সাথে আলাপ হয় ডক্টর ইরার। ক্রমে দুজনের বন্ধুত্ব একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছিল। এদিকে সূর্যহীন জীবনে রং ছিল না দীপার। মেয়ের জন্য লড়ে যাচ্ছিল সে। সেই সময় দীপার পাশে এসে দাঁড়ায় তাঁর স্কুল সিনিয়র‌ অর্জুন দা। অর্জুন বরাবরই দীপাকে ভালোবাসে।‌ সেকথা দীপার সামনে দাঁড়িয়ে স্বীকার করেছে অর্জুন।

তবে ভালোবাসায় সাড়া দেয়নি দীপা। সূর্য চলে যাওয়ার পর থেকে তার জীবনে আর ভালবাসা বেঁচে নেই। তাঁর বেঁচে থাকার শুধু মেয়ে রূপার জন্য। এদিকে রূপা কঠিন অসুখে আক্রান্ত। ছোট্ট রূপা দেখে যেতে চায় তার মা সুখী থাকুক। তাই অর্জুনের সঙ্গে মায়ের বিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর হয় রূপা।‌ শেষমেষ মেয়ের কথায় অর্জুনকে বিয়ে করতে রাজি হয় সে।

অন্যদিকে, পরিস্থিতির চাপে ইরার সিঁথিতে সিঁদুর তোলে সূর্য। দ্বিতীয় বিয়ের পরে একটুও খুশি নয় সে। স্বীকার না করলেও এখনো মনেপ্রাণে দীপার স্মৃতি ভুলতে পারেনি ‘অনুরাগের ছোঁয়ার’ নায়ক।

অন্যদিকে স্ত্রী আচার থেকে দূরে পালাতে ঘর ছেড়েছে অর্জুন। মন্দিরে গিয়ে দীপা নিজেই নিজের সিঁথিতে সিঁদুর তোলে। যাতে মেয়ে রূপা তাঁর চিকিৎসা করাতে রাজি হয়। তবে দেখাই যাচ্ছে নতুন জীবনে‌ মোটেও ভালো নেই সূর্য-দীপা।

আরও পড়ুন: ভাগ্যের পরিহাস! অসুস্থ বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের পাশে নেই ছেলে‌, মেয়ে! ধার করে হাসপাতালের খরচ মেটাচ্ছেন ড্রাইভার! পাশে দাঁড়ালেন ঋতুপর্ণা

কন্যা রূপাকে নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়িতে উঠেছে দীপা।‌ মায়ের সিঁথিতে উজ্জ্বল সিঁদুর দেখে খুশি রূপাও। তবে ভালো নেই দীপা। সেনগুপ্ত বাড়ির আনাচে-কান আছে তাঁর চোখের সামনে ভেসে উঠছে সূর্যের স্মৃতি। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মেয়ে রূপাকে নিয়ে চিন্তার রেশ। এত কাঠ খড় পোড়ানোর পর ‌ রুপার চিকিৎসা সফল হবে তো? চিন্তিত মা দীপা। একদিকে সূর্য আর অন্যদিকে দীপা ভাগ্যের পরিহাসে আলাদা হয়েও নতুন করে ভালবাসার রং খুজে পাবে তাঁরা? নাকি আবারো জীবনের চোরাস্রোতে এক হয়ে যাবে তাঁরা?