প্রিয়রঞ্জনকে ঘোল খাওয়াতে ঝিলিকের ছ’ক, এক শাড়িতে মাতোয়ারা আঁখি-ঝিলিক!
স্টার জলসার ( Star Jalsha ) নতুন ধারাবাহিক ‘দুই শালিক’ (Dui Shalik) দর্শকদের মনে ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে। নন্দিনী, তিতিক্ষা, অর্কপ্রভ এবং সায়নের অভিনয়ে দর্শকরা এখন মুগ্ধ। বর্তমানে কাহিনি ঘুরপাক খাচ্ছে আঁখি ও ঝিলিকের জীবনকে ঘিরে। একে অপরের বাসস্থানে এসে নতুন জীবন উপভোগ করছে তারা। প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে করতে তাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হচ্ছে। তবে, কালীপুজো ঘিরে এবার যে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে, তা গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
ধারাবাহিকে এখন দেখা যাচ্ছে আঁখি ঝিলিকের বস্তিতে এবং ঝিলিক ছাতা বাড়িতে রয়েছে। এবার তারা সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে। কালীপুজো এগিয়ে আসতে সবার মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হলেও বস্তির মানুষজন সমস্যায় পড়েছে, কারণ প্রিয়রঞ্জন সকলের মাইনে আটকে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঝিলিক দারুণ এক পরিকল্পনা করে। সে ঠিক করে প্রিয়রঞ্জনকে শিক্ষা দিতে হবে এবং বস্তির মানুষদেরও খুশি রাখতে হবে।
দুই শালিক আজকের পর্ব ৭ নভেম্বর (dui salikh Today Episode 7 November)
আজকের পর্বে দেখা যায়, ঝিলিক প্রিয়রঞ্জনের বিরুদ্ধে একটি চাল চালতে প্রস্তুত। গৌরব এবং দেবা যখন দুজনেই ঝিলিক এবং আঁখির জন্য একই রকম শাড়ি কিনতে যায়, তখন ঝিলিক তাদের নজর এড়িয়ে নিজের কাজ সেরে ফেলে। পরে গাড়ির পেছনে লুকিয়ে থাকে সে, এবং ঠিক সময়ে বেরিয়ে আসে। সে রাতের বেলায় বস্তিতে পোস্টার লাগাতে শুরু করে, যেখানে লেখা রয়েছে যে প্রিয়রঞ্জন এবারের পুজোতে সবাইকে ১০ হাজার টাকা বোনাস দেবে এবং সঙ্গে থাকবে বিরাট ভোজের আয়োজন। এই পোস্টার দেখে সবাই এক প্রকার আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়।
ঝিলিক ভালো করেই জানে যে প্রিয়রঞ্জনের মানসম্মান নিয়ে টানাটানি পড়লে সে আর তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে পারবে না। তার এই চালাকি কাজ করতেই বস্তির লোকেরা প্রিয়রঞ্জনের কাছে দাবি জানায় বোনাসের টাকা ও পুজোর ভোজের। অন্যদিকে, ঝিলিক যখন বাড়িতে ফিরে আসে, দেখে তার লাল শাড়ি রেখে গিয়েছে। মনে মনে খুশি হয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে সে।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! তিন নায়িকার গল্প নিয়ে জলসায় আসছে বিশাল বাজেটের সিরিয়াল! মুখ্য ভূমিকায় কোন নায়িকারা?
অন্যদিকে আঁখিও তার বাড়ির কালীপুজোর কাজে ব্যস্ত থাকে। তার বাবা তাকে পুজোর জিনিসপত্র নিয়ে আসার জন্য বলে। এদিকে, দেবা চুপিসারে এসে ঝিলিকের জন্য শাড়ি কিনে দেয়। এই উপহার পেয়ে আঁখিও অবাক হয়। এভাবে দুই শালিকের পুজোর দিন একই শাড়িতে রঙিন হয়।