অসুস্থ গুড্ডিকে নিজের শ্বশুরবাড়ি নিয়ে গেল রেশমি! দূর ছাই করে দিল শিরিন! মায়ের বিপক্ষে শাশুড়ির হয়ে মুখ খুলবে কি পুবলু?
গুড্ডি ধারাবাহিকে এখন চলছে টানটান উত্তেজনা পূর্ণ পর্ব। নতুনভাবে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক আবারও দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে। প্রথম প্রজন্মের পর দ্বিতীয় প্রজন্মও নজর কাড়ছে দর্শকদের।
গুড্ডি ধারাবাহিকে প্রথম অধ্যায়ের পরকীয়া নিয়ে তীব্র নোংরামি দেখানোর পর নিয়ে আসা হয় দ্বিতীয় অধ্যায়। মৃত্যু হওয়ার পর অনুজের ছেলে পুবলু অর্থাৎ ঋতুরাজের চরিত্র হয়ে ফিরে আসেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। আবার নায়িকা গুড্ডির পালিতা কন্যা রেশমি অর্থাৎ ঋতাভরীকেও দেখতে হয় অবিকল গুড্ডির মতোই। ধীরে ধীরে প্রেম হয় ঋতাভরী-ঋতুরাজের।
যদিও নতুন অধ্যায়ের এই গল্পে যুক্ত হয় আরও দুটি চরিত্র। অয়ন্তিকা ও ঋগ্বেদ। গল্পে দেখানো হয় অয়ন্তিকা ভালোবাসে ঋতুরাজকে আর ঋগ্বেদ ভালোবাসে ঋতাভরীকে। কিন্তু মনে মনে ঋতুরাজ বা ঋতাভরী একে অপরকে ভালোবাসে। এই কথা জানতে পেরে অয়ন্তিকা ঋতুরাজকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং ঋতুরাজ এবং ঋতাভরীর বিয়ে দিতে উদ্যোগ নেয়। আর এই কর্মকান্ডে সে পাশে নেয় ঋগ্বেদকে। যথারীতি তাঁদের উদ্যোগে ঋতুরাজ ও ঋতাভরীর বিয়ে হয়ে যায়। অন্যদিকে অয়ন্তিকা সিদ্ধান্ত নেয় ঋগ্বেদকে বিয়ে করার। তাঁদেরও মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘটে।
যদিও ঋতুরাজ শিরিন এবং অনুজের ছেলে জানার পর থেকে নিজের মেয়ে রেশমির সঙ্গে তাঁর বিয়ে মেনে নিতে পারেনি গুড্ডি। নিজের পালিতা কন্যাকে বারবার সাবধান করেছিল সে। সবকিছু ছেড়ে দিয়ে পাহাড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুড্ডি। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় রেশমি গুড্ডিকে নিজের শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসে। আর সেখানেই তীব্র অপমানিত হতে হয় গুড্ডিকে।
কারণ ঋতাভরী ও ঋতুরাজের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি অনুজের বাবা। সেই কারণে তিনি ডাক পাঠান শিরিনকে। আর রেশমি গুড্ডিকে নিয়ে নিজের শ্বশুরবাড়িতে এলে অয়ন্তিকা, ঋগ্বেদ, ঋতুরাজ, রেশমির সামনেই গুড্ডিকে তীব্র অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দিতে উদ্যত হয় শিরিন। ঋতুরাজ কি পারবে নিজের মায়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে শাশুড়ির হয়ে কথা বলতে? টানটান উত্তেজনামূলক পর্ব আসছে গুড্ডিতে !