স্টার জলসার (Star Jalsha) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক কথা (Kothha)। একাধিক মেগার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জমিয়ে ছুটছে এই ধারাবাহিক। সাড়া ফেলেছে দর্শক মহলে। টিআরপি তালিকাতেও কথার কামাল দেখাই যায়। সব মিলিয়ে জলসার এই মেগা টেলিভিশনে দাগ কেটেছে।
অন্য সব মেগাকে টেক্কা দিয়ে টিআরপি তালিকায় কামাল দেখাচ্ছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক কথা (Kothha)। চলতি সপ্তাহেও টিআরপি লিস্টে বেঙ্গল টপার হয়েছে এই ধারাবাহিক। কথা আর এভির কেমিস্ট্রিতে ক্লিন বোল্ড হয়ে যাচ্ছেন দর্শকরা। আর যার ফলে তার ছাপ পড়ছে টিআরপিতেও। নিত্য নতুন চমক এনে দর্শকদের চমকে দিয়েছে এই মেগা। শুধু তাই নয়! গল্পের মোড়কে দুর্দান্ত সব পর্ব উপহার দিচ্ছে ‘কথা’। প্রধান চরিত্রে সুস্মিতা ও সাহেবের অনস্ক্রিন রসায়ন এবং চমৎকার অভিনয় মন কাড়ছে দর্শকদের। সুস্মিতার সঙ্গে সাহেবের জুটি বেশ পছন্দ হচ্ছে সবার।
কথা আজকের পর্ব ১৫ই সেপ্টেম্বর (Kothha Today Episode 15th September)
ধারাবাহিকের শুরুতেই দেখা যায় কথা মন্দিরে যেতে বারণ করেছিল। মন্দিরে যাওয়ার পর প্রথম থেকেই প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় প্রান্তিক। কারণ সে শুনেছিল ঘুঙুর পড়ে হাঁটার শব্দে। অগ্নি তাঁকে ভয় পেতে বারণ করে কারণ অগ্নি তাঁর সঙ্গে আছে। তাঁরা ভেতরে গিয়ে ছেলেটাকে আর দ্বিতীয়বারের জন্য খুঁজে পায় না কথা তন্ন তন্ন করে খোঁজার চেষ্টা করলে প্রান্তিকের লোক তা সরিয়ে দেয় তাঁরা খেয়াল করে দেখে মন্দিরের চারিদিকটাও প্রচন্ড সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো ছিল কিন্তু এখন আর সেটা নেই কিছু একটা তো গায়ে কিন্তু তাঁরা কিছুতেই সেটা বুঝে উঠতে পারে না কোন জিনিসটা গায়েব হলো। এসবের মাঝেই একজন গ্রাম্য মহিলা কোথা থেকে যেন এসে কথাদেরকে কিছু ধাঁধা বলতে থাকে, যা শুনে ঘাবড়ে যায় কথা। সে ধাঁধার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করতে থাকে।
অগ্নি কথাকে বলে, এসব বিষয়ে এত না ভাবতে। বলতে বলতেই কথার উপর একটি জিনিস ভেঙে পড়ে যার থেকে অগ্নি কথাকে বাঁচিয়ে নেয়। কথা তাঁর কৃতজ্ঞতা বাবদ অগ্নিকে বলে, সে ছিল বলেই কথা যে কোন বিপদ থেকেই বাঁচতে পারে। তাঁরা আর এক মুহূর্তও মন্দিরে অপেক্ষা করে না, মন্দিরের বাইরে বেরিয়ে আসে। তারা তাদের হাউসে ফিরে আসে এবং ভাবতে থাকে এই রহস্য সমাধান কিভাবে করা যায় তারই মধ্যে কথা মহিলার বলা প্রত্যেকটি ধাঁধা কাগজে লিখতে শুরু করেছে সমাধানের আশায়।
আরও পড়ুনঃ বিচ্ছেদ ভুলে ফের প্রেমে মজে জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকা, খোলসা করলেন বিয়ের কথা
এর মধ্যে ম্যান্ডি এসে উপস্থিত হয় তারা কি প্ল্যানিং করছে সেটা জানার আশায় তার কথা অনুসারে বাইরে মেঘ করছে, তাই সে বাইরে জামাকাপড় ফেলতে পারবে না এবং যাতে কথা অগ্নিদের প্ল্যান জানতে পারে তার জন্য ঘরের কাজ করতেই শুরু করে দেয় যাতে প্ল্যান জেনে নিয়ে পুরোটাই তুলতে পারে প্রান্তিকের কানে। সেই মতোই ম্যান্ডির কানে আসে কথারা রাত্রিবেলা মন্দিরে যাবে প্ল্যান করেছে। কারণ ওই মন্দিরে যা হয় সব রাতের বেলাতেই হয়। সেটা মানুষে করুক বা কোন অশরীরী।
ভেস্তে গেল কথার প্ল্যান
এই কথা প্রান্তিকের কানে যেতেই প্রান্তিক ভন্ড সাধু বেশে চলে আসে গ্রামবাসীদের কাছে। গ্রামবাসীদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয় খানিকটা ছাই ছড়িয়ে যে আজ রাতে যে ওই মন্দিরের কাছে যাবে তার ক্ষতি হোক বা না হোক গ্রামের বড়ই ক্ষতি হবে যা শুনে ভয় পেয়ে যায় সাধারণ গ্রামবাসী। অগ্নি আর কথা বুঝতে পারল না তারা আজই প্ল্যান করল এবং সেই প্ল্যান অনুযায়ী কি করে গ্রামবাসীদের কানে খবর চলে এলো যে আজ রাতে মন্দিরে ঢোকা যাবে না কিন্তু গ্রামবাসীরা কোনভাবেই কথা এবং অগ্নিকে মন্দিরে ঢুকতে দিল না।