জি বাংলাকে টেক্কা দিয়ে ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’র প্রোমো প্রকাশ করল স্টার জলসা! প্রথম ঝলকেই মন জয় করলেন রাজনন্দিনী, সব্যসাচী চক্রবর্তী! প্রোমো দেখেই মুগ্ধ দর্শকরা বলছেন “এই হলো আসল রাণী ভবানী!”

ফের একবার ছোট পর্দায় ইতিহাসের আবহ। স্টার জলসা নিয়ে আসছে ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’ (Raj Rajeshwari rani Bhavani) । সোমবারেই প্রকাশ্যে এল এই ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমো। একই সঙ্গে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করল এটি হতে চলেছে মেগা প্রোজেক্ট। এবার জি বাংলা (Zee Bangla) এবং স্টার জলসা (Star Jalsha) — দুই চ্যানেলই হাত ধরেছে একই রানীর! ঠিক যেমনটা হয়েছিল ‘প্রথমা কাদম্বিনী’র সময়, ফের একবার একই কাহিনিকে কেন্দ্র করেই প্রতিযোগিতার মঞ্চে নামল বাংলা টেলিভিশনের দুই দাপুটে চ্যানেল।

কে আগে প্রথম প্রকাশ্যে আনবে রানীর মুখ?—সেই প্রতিযোগিতায় শেষমেশ এগিয়ে গেল স্টার জলসাই। ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’-র প্রোমো আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দর্শক মহলে। টিভি স্ক্রিনে রাণীর ভূমিকায় দেখা গেল ‘রাজনন্দিনী পাল’ (Rajnandini Pal) কে। গম্ভীর গলায় ধারাভাষ্য দিলেন ‘সব্যসাচী চক্রবর্তী’ (Sabyasachi Chakraborty), যেখানে তুলে ধরা হল বাংলার রক্তাক্ত অতীত আর এক সাহসিনী নারীর উত্থান। বলা হল— “সাল ১৭৪৮, নবাবী শাসন আর ইংরেজ বঞ্চনার মাঝেও একজন গ্রাম্য নারী কীভাবে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার রাজেশ্বরী।

কীভাবে তিনি গর্জে উঠেছিলেন অত্যাচারের বিরুদ্ধে।” এই প্রোমো আসতেই দর্শকদের দিক থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসছে। কেউ কেউ বলছেন রাজনন্দিনী যেন একেবারে রাণীর মতোই মানিয়ে গেছেন। আবার কারও মতে, চরিত্রায়ণ যতটা আকর্ষণীয়, ভিএফএক্স ততটাই দুর্বল। কেউ কেউ সরাসরিই জানাচ্ছেন, যদি গল্পে ঐতিহাসিক রিসার্চের ঘাটতি থাকে, তাহলে এই বড় প্রোজেক্টকেও টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে। দর্শকদের প্রত্যাশা একেবারে তুঙ্গে, তাই নির্মাতাদের দিক থেকেও মান বজায় রাখার চাপ প্রবল।

রাণী ভবানীর ইতিহাস নতুন কিছু নয়। তবে তার উপস্থাপন কতটা প্রাসঙ্গিক, কতটা নজর কাড়বে, সেটাই আসল প্রশ্ন। সেই উত্তরের কিছুটা ইঙ্গিত মিলল প্রোমোতেই। তারাপীঠ মন্দির সংস্কার হোক বা বারাণসীতে দুর্গা মন্দির নির্মাণ— রাণী ভবানীর অবদান ইতিহাসে সুপ্রতিষ্ঠিত। স্টার জলসা সেই ইতিহাসকেই পর্দায় এনে কতটা বাস্তব ও আবেগপ্রবণ করে তুলতে পারে, সেটাই দেখার। দর্শকরা দাবি করেছে প্রাইম টাইমে সম্প্রচার করতে, যাতে ভালো ফলাফল হয়।

আরও পড়ুনঃ শুভ থেকে আকাশ, জিনিয়ার কাছে সবাই তুরূপের তাস! একটা ঝামেলা শেষ হতে না হতেই আরেক ঝামেলার মুখে পড়লো আদৃত! কী হতে চলেছে গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে?

কেউ কেউ লিখেছেন, “চোখ বন্ধ করে সন্ধ্যে সাতটার সময় দেবেন এটি,” “সাতটার সময় না দিলে খবর আছে আপনাদের!” আবার কেউ কেউ রাজনন্দিনীর রূপে এতোটাই মুগ্ধ যে এবারের মহিষাসুরমর্দিনীতে তাঁকেই দুর্গা বানানোর আবেদন করলেন! তবে এখনই ধারাবাহিকের সম্প্রচারের সময় কিংবা নির্দিষ্ট তারিখ কিছুই জানানো হয়নি স্টার জলসার তরফ থেকে। আর এই দোলাচলে জি বাংলার প্রতিপক্ষ ধারাবাহিক কীভাবে প্রকাশ্যে আসে, সেটাও বড় কৌতূহলের বিষয় হয়ে উঠছে।