প্লুটোর মৃ’ত্যুর জন্য মিঠিকে কাঠগড়ায় তুলল মৌ! প্লুটোর স্মরণসভায় অনন্যার প্রবেশে মানসিক চাপে ভেঙে পড়ল মিঠি! মৌ-বর্ষার একযোগে দোষারোপে চরমে পরিস্থিতি, স্বতন্ত্র-কমলিনী কি পারবে মিঠিকে এই পরিস্থিতি দিয়ে বের করতে?

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, নতুন এক আবেগঘন মোড় এসেছে। মিঠি স্পষ্ট জানিয়ে দেয় স্বতন্ত্রকে, তাদের পারিবারিক সমস্যায় যেন সে আর নিজেকে জড়ায় না। কারণ বারবার হস্তক্ষেপের ফলে অনেকেই বিরক্ত হচ্ছে, যা মিঠির মোটেও ভালো লাগছে না। রেগে গিয়ে মিঠি স্বতন্ত্রকে নানা কটু কথা শুনিয়ে ফেলে। পরে অবশ্য সে নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং নতুনের কাছে ক্ষমা চেয়ে জানায় যে মানসিক চাপের কারণে এমন ব্যবহার করেছে।

এদিকে কলেজে প্লুটোর স্মরণসভা আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও উপস্থিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রথম বক্তৃতা দেন প্রিন্সিপাল, তারপরেই ডাকা হয় মৌকে। কারণ প্লুটোর সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। অধিকার সূত্রেই তার আগে যাওয়া উচিত মনে করে সকলে। মৌ বক্তৃতা দিতে গিয়ে আবেগে ভেসে যাওয়ার বদলে সরাসরি কটাক্ষ করতে থাকে। প্লুটোর মৃ’ত্যুর জন্য সে দায়ী করে নিজের বোন মিঠিকে।

যদিও নাম উচ্চারণ করেনি মৌ, কিন্তু ইঙ্গিত এতটাই স্পষ্ট ছিল যে সবার কাছেই পরিষ্কার হয়ে যায়। মৌ বলে, প্লুটোর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে মিঠি, লাগাতার অপমান করেছে। মৌর অভিযোগ শুনে উপস্থিত সকলে হতভম্ব হলেও মিঠি যেন সম্পূর্ণ অচেতন। সে প্লুটোর শোকে পাথর হয়ে গেছে। কারও কথায় তার আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার অবস্থায় নেই সে। পাশে থাকা মা কমলিনী আর কুর্চি মেয়েকে নিয়ে চলা কটাক্ষে কষ্ট পেয়েও সান্ত্বনা দিতে পারে না।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন বর্ষাও মৌয়ের অভিযোগকে সমর্থন জানায়। কারণ মিঠি বরাবর তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, তাই তার নাম খারাপভাবে প্রচার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না সে। অনুষ্ঠানে হঠাৎই প্লুটোর মা অনন্যার প্রবেশে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। এরপর দেখা যায়, প্লুটোর কাকা স্বতন্ত্র মঞ্চে প্লুটোকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ করে এবং মিঠির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও বলে। এমনকি সে মিঠির মা কমলিনীকে অনুরোধ করে প্লুটোর উদ্দেশ্যে একটি গান গাইতে।

আরও পড়ুনঃ লাবণ্য সেনগুপ্তকে ছাড়া অসম্পূর্ণ ‘অনুরাগের ছোঁয়া’! দিব্যজ্যোতি নেই, কিন্তু ধারাবাহিকের দ্বিতীয় অধ্যায়ে লাবণ্য রূপে আবার ফিরছেন রূপাঞ্জনা মিত্র! আপনারা কতটা উৎসাহী আবার অভিনেত্রীর প্রত্যাবর্তন নিয়ে?

কারণ প্লুটো তাঁর গান অত্যন্ত পছন্দ করত। এই প্রস্তাবে অনন্যা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু স্বতন্ত্রের জোরাজুরিতে কমলিনী গানটা করে। গানের পরে স্বতন্ত্র মঞ্চে ডাকে মিঠিকে। সাদা শাড়ি পরে আছে দেখে, মিঠিকে নিয়ে মৌর রাগ চরমে পৌঁছায়। সে উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে মিঠিকে আক্রমণ করে বসে, বলে তাঁর আজকে সবচেয়ে রঙিন পরার কথা ছিল। কিন্তু মিঠি তখনও চুপ। কারও কথায় বা অভিযোগে তার ভেতরের ব্যথা নাড়া দিতে পারছে না। বরং তার নীরবতা যেন আরও গভীর বার্তা বার্তাই দিচ্ছে।