স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্ব শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনী তন্ন তন্ন করে নিজের আলমারি খুঁজছেন। কিন্তু কিছুতেই যেন একটা জিনিস খুঁজেই পাচ্ছেন না। কুর্চি এসে কমলিনীকে চিন্তিত দেখে জানতে চায় যে কি হয়েছে। কমলিনী বলে যে ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় পুরস্কারে পাওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে কিছুটা টাকা বাড়িতে তুলে এনে রেখেছিল সে। কিন্তু সেই টাকা আর পাওয়া যাচ্ছে না।
কুর্চি জানতে চায় কী কারণে এত টাকা বাড়িতে রেখেছিল কমলিনী। উত্তরে কমলিনী বলে, সংসারের জন্য একসময় তার শাশুড়ি মা নিজের গয়না বন্ধক দিয়েছিলেন। সেই গয়না ছড়িয়ে আনবে বলেই টাকাটা রেখেছিল। কুর্চির মনে সন্দেহ হয়, সে জানতে চায় কমলিনীকে যে ওর মধ্যে থেকে কিছু টাকা কী আলাদা করা আছে। কমলিনী বলে যে, নতুন যেহেতু বিদেশ চলে যাচ্ছে। তাঁর জন্য উপহার কিনবে বলে পাঁচ হাজার টাকা নিজের কাছে আলাদা করে রেখেছিল।
কুর্চি এবার পরিষ্কার করে বলে, নিশ্চই কমলিনীর আলমারির চাবি নকল করেছিল চন্দ্ররা। ওরা সেই টাকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল, পারেনি বলে গয়না চুরির দোহাই দিয়ে বর্ষা আত্মসাৎ করেছে সেই টাকা। কমলিনী বিশ্বাস করতে চায় না। এদিকে মিঠি কুর্চিকে জিজ্ঞেস করে যে নতুন কবে চলে যাচ্ছে। উত্তরে কুর্চি বলে মিঠি যেভাবে নতুনকে অপমান করেছে, তারপর আর নতুনের বিষয়ে এত খোঁজ রাখা উঠিত নয়।
কমলিনী বুঝতে পারে যে মিঠির মনে মনে অনুশোচনা হচ্ছে। তাই নতুনের বিদেশ যাওয়ার তারিখ জানিয়ে দেয় মিঠিকে। এবার কুর্চি বলে নিচে গিয়ে সবটা এক্ষুনি বলা দরকার, নাহলে টাকাটা আর পাওয়া যাবে না। মিঠিও বলে তার মায়ের কাছে থাকা টাকার নম্বরের সঙ্গে বর্ষার টাকার নম্বরের মিল আছে কি না দেখতে হবে। কমলিনী আর অশান্তি চায় না, কিন্তু মিঠি আর কুর্চি বর্ষাকে উচিৎ শিক্ষা দিতে চায়। নিচে গিয়ে বর্ষাকে টাকাগুলো দেখতে চায় তারা।
বর্ষা বলে যে এই টাকা তার গয়না বিক্রি করে পাওয়া টাকা, কাউকে দেখাতে বাধ্য নয় সে। এমনিতেই যে পরিমাণ গয়না হারিয়েছে, তার পরিবর্তে এই টাকা কিছুই না। উত্তরে কুর্চি বলে তাহলে থানা-পুলিশ করতে, কারণ কমলিনীর টাকা না পাওয়া গেলে তারা পুলিশের দ্বারস্থাই হবে। বর্ষা বলে তার বাপের বাড়ি যথেষ্ট বড়লোক, তাই অন্যের টাকার প্রতি তার লোভ নেই। এদিকে এতবার করে টাকাগুলো দেখতে চাওয়া হলেও বর্ষা কিছুতেই দেখায় না।
উল্টে বলে যে ব্যাংকের জমা করে এসেছে। মিঠি নিজের সন্দেহ প্রকাশ করতেই বুবলাই বর্ষার সমর্থনে আবার নিজের মা আর বোনকে ছোট-বড় কথা শোনাতে শুরু করে। কমলিনীর মাসি শাশুড়ি বুবালইকে পাল্টা কটাক্ষ করলে, সে জানায় বর্ষার টাকা বাড়িতেই আছে আর সে নিয়ে আসছে। সত্যিটা ফাঁস হয়ে যাবার ভয় বর্ষা, বরকে অপমান করে নিজের পাশে চুপ করে দাঁড় করিয়ে রাখে।
আরও পড়ুনঃ স্টার জলসার পর্দায় ঝড় তোলা ‘রাঙামতি’ হঠাৎই ক্ষোভ উগরে দিলেন কলকাতার বিরুদ্ধে! প্রাণের শহর কি এমন করল অভিনেত্রী মনীষা মন্ডলের সঙ্গে?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।