স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনীর শাশুড়ি মা গয়নার শোকে বাড়ির সবাইকে সন্দেহ করতে থাকেন, এমনকি অভিশাপও দিতে থাকেন। একে একে বাবিল, কুর্চি, মিঠি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়, এই চুরির সময় তাঁরা কেউ বাড়িতেই ছিল না।
এবার সব দোষ গিয়ে পড়ে কমলিনীর ঘাড়ে। চন্দ্রের মা কমলিনীকে সন্দেহ করতে থাকেন এই ভেবে, যে গয়না চুরি করে সে বাইরে বিক্রি করতেই গিয়েছিল। মিঠি মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করে, সঙ্গে কুর্চিও তার মাকে মনে করিয়ে দেয় যে বাড়িতে এখন অনেক বাইরের লোক রয়েছে। তাদের মধ্যে যে কেউ চুরি করেনি তার কি প্রমাণ?
সোহিনী বুঝতে পারে যে তার দিকেই সবাই সন্দেহর চোখে দেখছে, তাই সুযোগ বুঝে কমলিনীকে নিয়ে নিজের সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। সোহিনী কথায়, কমলিনী এতো আত্মবিশ্বাসী যেন সত্যিই চুরি করে গয়না লোপাট করে দিয়েছে। বর্ষা থেকে শুরু করে এরপর বুবলাই, এমনকি চন্দ্র পর্যন্ত কমলিনীকে অপমান শুরু করে।
মিঠি ফোন করতে যাচ্ছে দেখে বুবলাই তাঁকে বাধা দেয়, নতুনকে পাছে ফোন করে তাই। কিন্তু মিঠি সেই বারণ না শুনলে, তাঁর গায়ে হাত তুলতে যায় বুবলাই। মিটিলকে ফোন করে মিঠি সবটা জানায়, মিটিল তাড়াতাড়ি করে নতুনকে সেই খবর দেয়। তারপর মিটিল বাড়িতে চলে আসে, ততক্ষণে পুলিশও এসে উপস্থিত।
আরও পড়ুনঃ মাকে ঘিরেই সায়কের জীবন, বাবার ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন নেটদুনিয়ায়! ভ্লগে সব জায়গায় মা আর দাদা কিন্তু বাবা কোথায়? ‘বাবাকে ইচ্ছাকৃত অপমান, অবজ্ঞা!’ অভিনেতা-ইউটিউবারের ব্যবহারে ক্রুদ্ধ নেটিজেনরা
সবার আলমারির চাবি নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। এদিকে বর্ষা নিজের আলমারির চাবি দিচ্ছে না দেখে মিটিল আপত্তি জানাতেই, সে দিয়ে দেয়। যথারীতি বর্ষার ঘরে কিছুই মেলে না। বর্ষা পুলিশকে কমলিনীর ঘরে নিয়ে যায়। পুলিশ সবাইকে যা গয়না আছে এক জায়গায় জড়ো করতে বলেন। তখনই একজন গয়নার বাক্স এনে জানায়, কমলিনীর ঘর থেকে পাওয়া গেছে!