স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনীকে উদ্দেশ্য করে বর্ষা আর চন্দ্র আদালতেই নানান কটুক্তি করতে থাকে। চন্দ্র বুবলাইকে বোঝাতে থাকে যে সোহিনীর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক থাকলে সোহিনী কোনদিনও কয়েকটা টাকার বিনিময় চলে যেতে পারত না। এমনকি কমলিনীর সঙ্গে নতুনের সম্পর্ক নিয়েও বাজে মন্তব্য করতে ছাড়ে না শশুর-বৌমা!
অন্যদিকে মিঠি চন্দ্রকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে দেখে মিটিল বলে, যতই হোক চন্দ্র তার বাবা। বাবার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা যায় না তবে বয়কট করা যায়। দুই পক্ষের কথার মাঝেই স্বতন্ত্র এসে হাজির হয়, তার কিচ্ছুক্ষণের মধ্যেই মামলার শুনানি শুরু হয়। আয়নদীপ (কুর্চির স্বামী) যিনি লড়ছেন চন্দ্রের পক্ষের উকিল হিসেবে, প্রথমেই কেসটা ব্যাখ্যা করেন বিচারকের সামনে।
তিনি বলেন চন্দ্র কর্মসূত্রে একজন ট্যাক্স অধিকর্তা হওয়াতে, মাঝে মাঝেই বাইরে যেতে হতো। তেমনি একবার মেঘালয়ে গিয়ে একটা দুর্ঘটনায় শিকার হন তিনি। এরপর স্মৃতিশক্তি ভুলে যাওয়ার ফলে বাড়ি ফিরে আসতে পারেননি, বরং একটি হোমে আশ্রয় নেন। সেখানের মালিকের কন্যার সঙ্গে তার বাবা-মেয়ের মতো সম্পর্ক তৈরি হয়, এরপর তিনি তাদের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন।
একদিন স্মৃতি ফিরে আসতে তিনি পালিয়ে আসেন নিজের বাড়ি, কিন্তু তারপর কমলিনী তাঁকে স্বামী মানতে রাজি হন না। কারণ তিনি আগেই মৃতদেহ দেখে বৈধব্য গ্রহণ করেছেন আর চন্দ্রের বন্ধু স্বাতন্ত্রর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এরপর কমলিনীর পক্ষের উকিল প্রথমেই কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে যাওয়ার ঘটনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দেন।
আরও পড়ুনঃ “বছরের পর বছর কথা হয়নি, জানিনা ওকে কি বলবো!” “দুজনকে দুজনের কিছু দেওয়ার নেই, শুধু আশীর্বাদ দিতে পারি!”— দেবের গলায় শুভশ্রীর জন্য শ্রদ্ধা আর অব্যক্ত ভালোবাসা! ৯ বছর পর শুভশ্রীকে ঘিরে ফিরে এল পুরনো অনুভব, ‘ধূমকেতু’ মুক্তির আগে দেব কি বললেন?
তিনি আদালতের সামনে তুলে ধরেন একটি চিঠি, সেখানে বলা আছে কমলিনীর সঙ্গে সংসার করাকালীন চন্দ্রের সম্পর্ক ছিল সোহিনীর সঙ্গে। সোহিনী ওই চিঠি চন্দ্রের তার বিয়ে ভাঙার জন্য পাঠিয়েছিল, যেটা চন্দ্রের মৃ’ত্যু সংবাদ পাওয়ার অনেক পরে কমলিনী পায়। এরপর উকিল জানান, চন্দ্র যে গাড়ি দুর্ঘটনার কথা বলছেন, তেমন কিছুই ওইদিন হয়নি। সব মিলিয়ে চন্দ্র এবার নিজের জালেই জড়িয়ে পড়ছে!