প্রায় এক-দুই করে নয় বছরের দীর্ঘ ব্যবধান! মাঝে বদলে গেছে অনেক কিছু। জীবনচক্রে এসেছে নতুন মোড়, সম্পর্কের সমীকরণও বদলে গেছে। কিন্তু সময় থেমে থাকেনি, আর সেই সময়ের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া এক জুটিকে ফের বড় পর্দায় দেখতে চলেছে দর্শক— ‘দেব’ (Dev) এবং ‘শুভশ্রী গাঙ্গুলি’ (Subhashree Ganguly)। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১৪ আগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে ‘ধূমকেতু’ (Dhumketu)। শুধু সিনেমার গল্প নয়, বরং বহু স্মৃতি, বহু আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই ছবির সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, দেব-শুভশ্রীর সম্পর্ক এক সময় টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম আলোচিত প্রেমের কাহিনি ছিল। সেই প্রেম ভেঙে যাওয়ার পরে দুজনের পথ যেমন আলাদা হয়েছে, তেমনই আলাদা হয়েছে জীবনের গতি। বর্তমানে শুভশ্রী ইন্ডাস্ট্রি স্বনামধন্য পরিচালক ‘রাজ চক্রবর্তী’র স্ত্রী এবং দুই সন্তানের মা। দেবও নিজের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিয়েছেন রুক্মিণীকে। কিন্তু ‘ধূমকেতু’ যেন হঠাৎ করেই আবার ফিরিয়ে দিচ্ছে সেই পুরনো দিনগুলিকে।
ফের একসঙ্গে তাদের বড় পর্দায় দেখার উত্তেজনা দর্শকদের চোখে মুখে স্পষ্ট। এবং এই উত্তেজনার মাঝেই সামনে এল দেবের আবেগঘন স্বীকারোক্তি। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে দেব অকপটে স্বীকার করলেন, গত ৯ বছরে শুভশ্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি। কেবল কাজ নয়, ব্যক্তিগতভাবেও কোনও যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু যদি আবার দেখা হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে দেব বলেন, তিনি জানেন না কী বলবেন যদি পাশাপাশি বসতে হয়।
হয়তো অনেক কথাই বলা বাকি থেকে গিয়েছে, আবার এমনটাও হতে পারে—নিরবতাই হতে পারে সবচেয়ে বড় উত্তর। শুভশ্রীর প্রসঙ্গে এসে দেবের কণ্ঠে যেন ঝরে পড়ল প্রশংসার সুরও। তিনি বলেন, “শুভশ্রী যেভাবে পরিবার এবং কেরিয়ার একসঙ্গে সামলাচ্ছে, সেটা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। নিজেকে এক জায়গায় ধরে রাখতে যে ধরণের পরিশ্রম এবং একাগ্রতা দরকার, ও সেটা করে দেখিয়েছে।” একজন প্রাক্তন প্রেমিকের মুখে এমন স্পষ্ট সম্মানবোধ শুভশ্রীর প্রতি দেবের অদৃশ্য শ্রদ্ধারই প্রতিফলন।
আরও পড়ুনঃ “আমরা শিল্পীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই বাঁচি।” বিজেপিতে যাওয়া ভুল ছিল, তৃণমূলে ফিরে স্বস্তি! অকপট অভিনেতা সোহেল, ‘সুবিধাবাদী’ বলছেন নেটিজেনরা
শেষে দেবের মন্তব্য যেন সব অনুভবকে একসঙ্গে মুঠোয় ধরে রাখার মতো। তিনি শেষে বলেন, “ভালো থাকা খুব কঠিন, খারাপ থাকা সহজ। আমাদের মধ্যে এমন কিছু নেই যা একে অপরকে দিতে পারি বা নিতে পারি। শুধু ভালবাসা আর আশীর্বাদ দিতে পারি, যেন আগামী দিনগুলো খুব স্বাচ্ছন্দ্যে কাটে।” এই কথাগুলো যেন সেই ধুলো পড়া পুরনো অধ্যায়ের প্রতি এক নীরব সম্মান, আর নতুন জীবনের প্রতি এক পরিণত দৃষ্টিভঙ্গি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।