স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের বর্তমান পর্বে, প্লুটোর মৃ’ত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। মিঠির মানসিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দিন দিন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা যাচ্ছে। যে মায়ের সমন্ধে কেউ একটা খারাপ কথা বললেই মিঠি সবার আগে রুখে দাঁড়িয়েছে এতদিন। জীবনের বহু ঝরে ঢাল হয়ে মকে রক্ষা করেছে, সেই আজ মায়ের চরিত্রের দিকে আঙুল তুলছে। নিজের মেয়ের মুখে এমন কথা শোনা নিঃসন্দেহে যে কোনও মায়ের কাছে অত্যন্ত বেদনা দায়ক।
কিন্তু যাঁকে একদিন নিজের জায়গায় রেখে, পরিস্থিতি তুলনা করে কমলিনী নিজের সাধ্যমতো পাশে দাঁড়িয়েছিল। আজ সেই মানুষটাই সরাসরি নোংরা কথা বলতেও ছাড়ছে না কমলিনীকে। সেই মানুষটি আর কেউ নয়, বরং চন্দ্রের বর্তমান স্ত্রী সোহিনী। এক সময় স্বামীর খোঁজে এসে কমলিনীর দরজায় দাঁড়ালেন, সে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছিল সোহিনী এবং তাঁর মেয়েকে। কমলিনী বরাবর জানতো তার সঙ্গে চন্দ্রের সম্পর্কের কথা। তা সত্ত্বেও হোটেলে যে পরিমাণ টাকার ঋণ জমেছিল,
সবটা পরিশোধ করে দেয় কমলিনী নিজের টাকায়। সেই মুহূর্তে কমলিনীর মনে হয়েছিল চন্দ্র সোহিনী সঙ্গও প্রতারণা করেছে, তাই তাঁর পাশে দাঁড়ানো দরকার। পরবর্তীকালে টাকা নিয়ে চন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের কথা স্বীকার করে চলে যায় সোহিনী। আদালতে চন্দ্র-কমলিনীর বিচ্ছেদ মামলা উঠলে, প্রধান সাক্ষী হিসেবে সোহিনীর কথাই প্রাধান্য পায়। সেখানে সোহিনী শিকার করে যে, তাদের সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে চন্দ্রের দেওয়া টাকা নিয়ে লুকিয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছিল সে।
কিন্তু কমলিনীর পাশে দাঁড়াতে চায় বলে সাক্ষ্য দিতে এসেছে। বিচ্ছেদ মামলায় কমলিনী জিতে যাওয়ার পর সোহিনী অনুরোধ করে, চন্দ্র সঙ্গে সংসার করতে চায় সে। বর্তমানে তারা সবাই একই বাড়িতেই রয়েছে। কমলিনী আর শিশুরবাড়ির কারোর দায়িত্ব নেয় না, এদিকে বর্ষা আর সোহিনী সারাদিন পায়ের উপর পা তুলে আরাম করে যাচ্ছে এবং বৃদ্ধ শাশুড়িকে দিয়ে রান্না করাচ্ছে। কমলিনী প্রতিবাদ করতে আসলে, একসময়ের সেই কমলিনীর পাশে দাঁড়াতে যাওয়া সোহিনী কটাক্ষ করছে তীব্র!
চন্দ্রের কথায় তাল মিলিয়ে চরিত্র নিয়ে টানা হেচড়া করছে কমলিনীর। নতুনের প্রসঙ্গ তুলে সোহিনী বলে, কমলিনীর লজ্জা হওয়া উচিত। এমনকি বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে সোহিনী। তার দাবি এই বাড়িতে কমলিনীর আর থাকার অধিকার নেই, যে অধিকার তার আছে। এমনকি বড় মুখ করে সোহিনী বলে, যে সময় স্বামী নিখোঁজ হয়ে গেছিল, তাকে খুঁজতে এসেছিল সোহিনী। উল্টে পরপুরুষের হাত ধরে সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে যায়নি। যতই দোষ গুণ থাক চন্দ্রের তবুও তার সঙ্গে সংসার করছে এই নিয়ে গর্ববোধ করে সোহিনী।
আরও পড়ুনঃ “যাঁরা আমাকে ট্রোল করেন, তাঁরা নিজেদের রুচির পরিচয় দেন”— জাপানের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘বিজয়ার পরে’ নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রোলারদের উদ্দেশে কড়া বার্তা মমতা শঙ্করের!
প্রশ্ন উঠছে একসময় স্বামীকে প্রতারক জোচ্চোর বলে আখ্যা দেওয়া সোহিনী, এখন স্বামীর সুরে কেন গান গাইছে? একসময় চন্দ্র নামে মামলা করতে চেয়েছিল কমলিনীর হয়ে, তবে আজ কেন অকৃতজ্ঞর মত ব্যবহার করছে সে? আপনাদের কী মতামত, কমলিনী নিজেই দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছে? এখন কি করণীয় হওয়া উচিত কমলিনী? সোহিনীদের ঘাড় ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া উচিত, নাকি শান্তির খোঁজে নিজেই বাড়ির ত্যাগ করা উচিত?