সূর্য ভুল ইনজেকশন দিয়ে মারতে গেল মিশকাকে! দীপা গেল ডাক্তারের কাছে মিশকার প্রেগনেন্সির রহস্য উদ্ধারে! ধামাকা আজ
মিশকা নাকি দীপা কে জিতবে এখন এটাই অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) সিরিয়ালের সবথেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক প্ল্যান করে চলেছে মিশকা এবং সেই জালে ধরা পড়লেও জাল থেকে বেরিয়ে এসে সফল হচ্ছে দীপা। দুজনের টানাপোড়েন চলছে শুধুমাত্র সূর্যকে নিয়ে। আর এখন আবার সূর্য সন্তানের মা হতে চলেছে মিশকা। ফলে বিষয়টা সম্পূর্ণ অন্যরকম হয়ে গেছে এবং প্রচন্ড সেনসিটিভ হয়ে উঠেছে।
মিশকার প্ল্যান
সূর্য আবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরে যায় এবং সেটা দেখে মিশকা আবার মনে মনে প্ল্যান করে সে আবার নতুন কিছু করবে যাতে সূর্যকে সে পায়। তবে আইনের জালে সে ফেঁসে যায় এবং আদালতে গিয়ে সমস্ত সত্যি কথা স্বীকার করে নিতে হয়ে তাকে। অবশেষে গ্রেফতার করা হয় মিশকাকে। এবার সে একটা প্ল্যান করে এবং মিথ্যে অসুস্থতার নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেই হাসপাতালের ডাক্তার আবার সূর্য। তাই সূর্যকে ইমারজেন্সি কিসের জন্য ফোন করা হয় যখন বাড়িতে সবাই বিজয়ার আনন্দে মত্ত ছিল তখন। নিজের কর্তব্যে সাড়া দিতে তাকে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব
গত পর্বে দেখা যায় যে সূর্য রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখে সেই রোগী হল মিশকা। তারপর সে সেখান থেকে পালাতে যায় এবং মিশকা তাকে আটকাতে গিয়ে বিছানা থেকে পড়ে যায় এবং আঘাত পায়। তার অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে এবং সূর্য শেষমেশ লাবণ্যর কথা শুনে বাধ্য হয় বন্ডে সই করতে সন্তানের বাবা হিসেবে। এরপর ডাক্তার তার কাছে আসে একটা ইনজেকশনের জন্য কারণ মহিলা ডাক্তার আসতে কিছুক্ষণ সময় লাগবে। সূর্য তখন যায় এবং মনে মনে একবার ভাবে যে যে তার জীবনে এত ঝড় নিয়ে এসেছে আজ তাকে শেষ করে দেবে। কিন্তু পরের মুহূর্তেই তার ডাক্তার হিসেবে কর্তব্যবোধ তার মনকে নাড়া দিয়ে যায় এবং সে একটা ভুল করা থেকে নিজেকে আটকে নেয়। সে সঠিক ইনজেকশন দেয় এবং তারপর সেখান থেকে লাবণ্যকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।
এদিকে বাড়িতে দেখা যায় দীপা একা একা বসে চিন্তা করছে আর সকলে দশমীর ভাষণ দিয়ে তারপর বাড়ি ফিরে আসে। সূর্য ফিরে আসতেই দীপা তাকে প্রশ্ন করে যে কোথায় গেছিল। সূর্য উত্তর দিতে পারেনা এবং লাবণ্য তাকে বোঝায় যে এখন বলার দরকার নেই বরং সঠিক সময় আসলে তখন সত্যিটা বলা যাবে। এরপর দেখা যায় যে দীপার বৌদি আসে একটা সুখবর নিয়ে যে এবার দীপার দাদা-বৌদি সন্তানের জন্য আইভিএফ পদ্ধতিতে চেষ্টা করছে। এটা শুনে দীপার মনে খটকা লাগে এবং সে জানতে চায় সে মিশকার ফোনে এক ডাক্তারের সঙ্গে কথোপকথন দেখে নিয়েছিল যেটা দেখে সে সেই ঠিকানায় যায় কিন্তু সেখানে কোন ডাক্তার থাকে না। সে নিজের বউদিকে বলে একবার সেই ঠিকানায় গিয়ে খোঁজ করতে।
পরের দিন দেখা যায় দীপা বাড়িতে আবার মিথ্যে কথা বলে সেই ডাক্তারের কাছে দেখা করতে গেছে। অন্যদিকে সূর্য বাচ্চাদেরকে নিয়ে স্কুলে দিতে যায় এবং সেখানে সোনা রুপাকে একটি বড় ছাত্রী বলে যে তাদের আরো একটা ভাই বা বোন আসতে চলেছে। তখন তাদের মনে পড়ে তাদের পচা আন্টির কথা যে বলেছিল তাদের আরো একটা ভাই বা বোন আসছে। তারা বুঝতে পারে না কি করবে এবং খুব রেগে যায়। ওদিকে দীপা বৌদিকে বলে যে তার মন বলছে আজ হয়তো একটা রহস্যের মীমাংসা করতে পারবে সে।