বড়পর্দা, টেলিভিশন বা রেডিও, বিনোদনের সমস্ত মাধ্যমেই একইভাবে জনপ্রিয় তিনি। সিনেমায় তাঁর হাস্যরসপূর্ণ চরিত্রগুলি যেমন বারবার দমফাটা হাসি এনে দিয়েছে দর্শকদের মুখে তেমনই রেডিও মির্চির সানডে সা’স’পে’ন্স ভ’য়ে কাঁ’পি’য়ে দিয়েছে বুক এমনই অসাধারণ কণ্ঠের অধিকারী তিনি। তিনিই বাংলার কমেডি কিং মীর আফসার আলী (Mir Afsar Ali) ওরফে আপনাদের প্রিয় মীর।
ভূ’তে’র ভবি’ষ্য’ৎ, কলকাতায় কলম্বাস, হ্যাপিপিল, বিজয়ার পরে, ধনঞ্জয়, রক্ত রহস্য, কখগঘ, অ’ভি’শপ্ত নাইটি, ব্যোমকেশ পর্ব, এসেছে আবার শবর, কিশোর কিমার সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর অভিনয় ফুটিয়ে তুলেছে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি। তাঁর অসাধারণ অভিনয় বারবার মন ভরিয়েছে বাংলার দর্শকদের। পরিবর্তে তিনি পেয়েছেন অগাধ ভালোবাসা।
তবে মীর বলতেই বাংলার মানুষের যেই অনুষ্ঠানটির কথা সর্বপ্রথম মনে পড়ে সেটা জি বাংলার নন ফিকশন শো মীরাক্কেল। ২০০৬ সাল থেকে জি বাংলায় সম্প্রচারিত হচ্ছে মীরাক্কেল। এপার বাংলা এবং ওপার বাংলা সহ সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার মানুষদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয় মীরাক্কেল। বাংলার কমেডিয়ানদের নিয়ে তৈরি এই শো’টির সঞ্চালনার দায়ভার বরাবর সামলে এসেছেন মীর।
অনুষ্ঠানটিতে মূলত বিচারকের আসনে থাকতেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্রীলেখা মিত্র। যদিও ২০২০ সালে পরিবর্তন এসেছিল বিচারক মণ্ডলীতে। সেই বছর বিচারকের আসনে ছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, পাওলি দাম এবং কাঞ্চন মল্লিক। সেই সিজেনেই বিচারকের আসনে যোগ দেন সোহম চক্রবর্তী এবং রুদ্রনীল ঘোষ। দেখতে দেখতে শোটি পার করেছে ১০টি সিজেন। যদিও এখন আর জি বাংলার পর্দায় দেখা যাচ্ছে না মীরাক্কেল। কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: দারুণ পর্ব! খেল খ’ত’ম সুইটির! শ’য়’তা’ন সুইটিকে জ’ব্দ করে দত্ত বাড়ি থেকে বি’দা’য় করল পর্ণা
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে মীর এই বিষয়ে বলেছেন “আমি একটা মীরাক্কেল করে ওই মাছের গ’ন্ধ’টা আমার গা থেকে দূর করতে পারিনি। মাছের গন্ধ কেন বললাম, কারণ মানুষ একটা সময় পর বলে না হাত থেকে গন্ধটা যাচ্ছে না,আমার কেরিয়ারের ক্ষেত্রে ওই কমেডি শোটা একটা স্ট্যাম্পের মতো হয়ে গেছে। আমি যাই করিনা কেন লোকে আমাকে ওটাই চায়। এটা ভালো হয়েছে কিন্তু ওটা করছেন না কেন? ওটা চ্যানেলকে বলে শুরু করান। সেটা শুনে শুনে এক’ঘে’য়েমি চলে এসেছে। আর করতে চাইছি না সেটা। এই আত্মাভি’মান খুব মূল্যবান।“ তাহলে আর হবে না মীরাক্কেল, নাকি মীর ছাড়াই শুরু হবে মীরাক্কেল, সেটা বলবে সময়।






“আগে মা-বাবারা গল্প পড়ে শোনাতেন, এখন বাচ্চারা বিরক্ত করলেই মোবাইল ধরিয়ে দেয়!” “বাচ্চারা চুপ করলেও জ্ঞানের বিকাশ কি হয়?”— বর্তমান প্রজন্মের অভিভাবকদের সংবেদনশীলতা নিয়ে খোঁচা শ্রীকান্ত আচার্যের! প্রজন্মের বদলে যাওয়া শিক্ষার ধরণেও কি খেদ পড়ছে?