কেমন জব্দ! প্রতীক্ষার ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি পলাশের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিল তীর্থঙ্কর! ভয়ে কাঁপছে ব্যাঁকামুখী

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) ভালোবাসার সপ্তাহে এসেছেন নতুন মোড়। একদিকে নিজের ভালবাসার মানুষ শিমুলকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে শতদ্রু। এমনকি নিজেরও জীবনের তোয়াক্কা না করে সে লড়ে যাচ্ছে শুধু শিমুলকে বাঁচানোর জন্য। ওদিকে নিজের স্যারকে দেখারও ইচ্ছে প্রকাশ করেছে পুতুল। তার শরীরের এই পরিস্থিতিতে সে একবার দেখা করতে চায় তার স্যারের সঙ্গে যদিও পলাশ আর প্রতীক্ষা তাকে বারন করে দিয়েছে।

কোর্টে শিমুলের কেসটা ওঠার পর একের পর এক চলছে শুনানি। মধুবালা দেবী, কাকিমা, বিপাশা এমনকি পরাগের স্কুলের প্রধান শিক্ষকও বলেছেন শিমুল এই কাজ করতে পারেনা, সে খুব ভালো মেয়ে। এইসমস্ত কথা শুনে শিমুলকে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার আশায় বুক বেঁধেছে শতদ্রু। ওদিকে পুতুল খুব অসুস্থ। প্রতীক্ষার ধাক্কায় টেবিলের ব্যথা লেগে জ্বর চলে এসেছে তার। সে চায় একবার তার স্যার আর শিমুলকে দেখতে।

কিন্তু তাতে বাদ সাধে প্রতীক্ষা। এমনকি ডাক্তার পুতুলকে ফল খেতে বলেছে জেনেও যখন মধুবালা দেবী বলে পুতুলের জন্য ফল কিনে আনতে, তখন বারণ করে দেয় প্রতীক্ষা। সেইসময় প্রতীক্ষা আর পলাশের ঘর বন্ধ করে লুকিয়ে লুকিয়ে ফল খাওয়ার কীর্তির কথা ফাঁস করে দেয় পুতুল। সেই কথা শুনে ছি ছি করে মধুবালা দেবী। তবে সে মুহূর্তে বাড়িতে ঢোকে তীর্থঙ্কর।

তীর্থঙ্করকে দেখে মধুবালা দেবী এবং পুতুল খুশি হলেও প্রতীক্ষা তাকে বাধা দেয়। তখন তীর্থঙ্কর বলে তাকে তুতুল খবর দিয়েছে। তীর্থঙ্কর গিয়ে ফল দেয় পুতুলের হাতে এবং তাকে খেতে বলে। প্রতীক্ষা তাকে চলে যেতে বললে সে বলে “তোমার সব ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি আমার কাছে আছে তাই আমি কিছু বলতে এসো না আমি সেটা ভালো হবে না তোমার জন্যে।” প্রতীক্ষা ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে পলাশ তাকে জিজ্ঞাসা করে কিসের ছবি।

পরাগও জানতে চায় তখন সে পরাগকে বলে আপনার সময় আসেনি এখনও শিমুলকে ফাঁসিয়ে পার পাবেন ভেবেছেন, কেসটা শেষ হতে দিন। তারপর পলাশকে বলে আমি ঘর ভাঙতে চাইনা আর ছবিগুলো দেখানোর সময় এখনও আসেনি ঠিক সময় সব জানতে পারবে। প্রতীক্ষাও পলাশকে নিয়ে তড়িঘড়ি অফিসে চলে যায়। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের প্রতীক্ষার সব জারিজুরি এবার কি তবে ফাঁস হবে?

You cannot copy content of this page