বিয়ে কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য জোরাজুরি করা হলে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে, এমনটাই বলল কমলিনী। স্টার জলসা চিরসখা ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, ‘কমলিনী যেটা চাইবে সেটাই হবে ওর মতই আমার মত’, এমনটাই বলে চন্দ্র। এরপর, কমলিনী সবার সামনে বারবার করে নানান কথার ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করে বাড়িতে যা নিয়ে আলোচনা চলছে তা তাঁর মোটেই ভালো লাগছে না।
এমন সময়, কমলিনীর বাবা জিজ্ঞাসা করে তাঁর কী শরীর খারাপ লাগছে? এরপর, কমলিনীর বৌদি তাঁকে খেয়াল করে বলে, চোখের তলায় কালি দেখা যাচ্ছে। এমন সময়, সবাই কমলীনিকে নানা প্রশ্ন করতে থাকে। এই সময় কমলিনের বৌদি ইচ্ছা করে তাকে এমন কিছু কথা বলে যাতে সে রেগে যায়।
কমলীনিকে তার বৌদি জিজ্ঞাসা করে চন্দ্র দার সঙ্গে সে এক ঘরে শোয়ে কিনা? প্রশ্নটা খুব সাধারণ হলেও কমলিনী এবং সামনে থাকা সকলেই অস্বস্তি বোধ করেন। এরপর, বেশি কথা না বারিয়ে পুরুতমশাইকে জিজ্ঞাসা করে নিয়মের কথা। পুরোহিত বলে, আচার অনুষ্ঠান করেও বিয়ে করা যায় আবার ভগবানের সামনে দাঁড়িয়ে কপালে সিঁদুর পরে নেওয়া যায়।
এমন সময় কমলিনী বলে, সিঁথিতে সিঁদুর কিংবা বিয়ের নিয়ম সে কোনোটাই করবে না। এমনকি, সে এটাও জানায় তাঁকে জোর করা হলে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। এইসব কথা শুনে চন্দ্র বলে সে একটু আলাদাভাবে কমলিনীর সঙ্গে কথা বলতে চায়। এদিকে, এমন কথা কমলিনী কেন বলছে তা ভালো করেই বুঝতে পারে মিটিল এবং কুর্চি।
মনে মনে মিটিল ভাবে, কাকিমার খুবই যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট এখন হচ্ছে, মনে মনে সে নতুন কাকুকে ভালবাসে কিন্তু সমাজ তাঁদের এই ভালোবাসা মেনে নেবে না। অথচ এই বাড়ির কাউকে আটকানোও যাবে না। এই শুনে কমলিনীর শাশুড়ি স্বতন্ত্রকে বলে বৌমাকে বোঝাতে। নতুনও কথা মতো, তাঁর বৌঠানকে বোঝাতে চাইলেও কমলিনী কোনো কথা শোনে না।
আরও পড়ুনঃ কমলিনীর জীবনে পুরনো ছায়া, প্রশ্নের মুখে স্বতন্ত্রর অস্তিত্ব! কমলিনী-স্বতন্ত্রর দুরত্ব বাড়াতে বর্ষা আর বুবালাই কি আঁটছে ষড়যন্ত্র? এই ব্যক্তি কি আসলেই কমলিনীর হারিয়ে যাওয়া স্বামী? কমলিনীকে নিয়ে লীনা গাঙ্গুলির ছেলেখেলায় ক্ষুব্ধ দর্শক!
এরপর দেখা যায়, অনন্যা-ডলের সঙ্গে কোমলিনীর বৌদি একটা ক্যাফেতে দেখা করতে গেছে। কমলিনের বৌদি সেখানে রীতিমতো অনন্যা দের সামনে তাকে নিয়ে সমালোচনা করছে। কথায় কথায় কমলিনীর বৌদি অনন্যাকে বলে এটাই সঠিক সময়ের নতুনদাকে বিয়ে দেওয়ার। এক কথায় কমলিনীর এরকম অবস্থা দেখে মনে মনে বেশ আনন্দ পাচ্ছে অনন্যা।