কমলিনীর পাশে আজ গোটা পরিবার। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, বাড়িতে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে বর্ষার বাপের বাড়ির লোক। আর, তাঁরা এসে কমলিনীকে যা নয় তাই বলে অপমান করছে। এমনকি, মেয়ে কমলিনীকে ‘ব্যাভীচারি’ বলে ঠিক করেছে মনে করেন।
এই পারিবারিক বিষয়ে দেখা যাচ্ছে মিটিলও যখন কাকিমা অর্থাৎ কমলিনীকে সমর্থন করছে তখন বর্ষার বাপের বাড়ির লোক তাঁর দিকেও আঙ্গুল তুলছে। বর্ষা, তাঁর বাবা-মা এমনকি বুবলাই পর্যন্তও কমলিনীকে নানা ভাবে কথা শোনাচ্ছে।
এর মধ্যেই বুবলাই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোককে বলে, যদি তাঁরা কটা দিনের জন্য বর্ষাকে বাপেরবাড়ি নিয়ে যায় তাহলে খুব ভালো হয়। এই শুনেই বর্ষা বলে, সে তাঁকে এই শত্রুপুরীতে রেখে যাবে না। কথায় কথায় বর্ষার মা বলে, ‘বুবলাই তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বলে এসেছে তাঁকে নাকি অনেক কষ্ট সহ্য করে বড়ো হতে হয়েছে। তাঁর মায়ের ব্যবহার একদম ভালো লাগে না’।
এইসব কথা যত শুনছে ততই অবাক হয়ে উঠছে কমলিনীরা। এতকিছু শোনার পরে কমলিনীর মা বর্ষাকে বলে, ‘সে তাঁর মেয়েকে বুঝে উঠতে পারেনি। তাঁর মেয়ের সঙ্গে কেন সংসার করতে পারলো না এখন বুঝতে পারছে। বর্ষা যে কী ভুল করলো ও নিজেও বুঝতে পারছে না’। অন্যদিকে আবার, বর্ষার বাবা বলে উঠল, ‘তাঁরা কোনোদিন মেয়ের গায়ে একটা টুসকি পর্যন্ত মারেনি, আর শ্বশুরবাড়ি আসতে না আসতেই তাঁর গায়ে কমলিনী হাত তুলেছেন’। এটা ভাবতেই পারছে না তিনি।
এরপরই, বাড়িতে এসে হাজির হয় পুলিশ। বাড়িতে পুলিশ আসা মাত্রই বাবিন বলল, এবার তো ষোলো কলা পূর্ণ হল বৌদিভাই। আরও বলল, তাঁরা কেউ পুলিশ ডাকেনি তাই তাঁরা কেউ তাঁদেরকে আপ্যায়ন করতে পারবে না। এরপর পুলিশকে সবটাই খুলে বলে বর্ষা। পুলিশ সবার মধ্যে কমলিনীকে খুঁজে নিতে চায় তখন কমলিনী নিজে থেকেই তার পরিচয় দেয়। এমন সময়, মিঠি তাঁর মায়ের পক্ষ নিয়ে অনেক কথাই বলে। গঙ্গা জলের মতো পবিত্র একটা মানুষকে যদি দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতন করা হয় তাহলে কি সেটাকে সাংসারিক নির্যাতনের অন্তর্ভুক্ত করা যায় না? এই প্রশ্ন করে পুলিশদের। এরপর পুলিশরা কমলিনীর নানান ব্যবহারের মাধ্যমে বুঝতে পারে সে বধূ নির্যাতনের মত কাজ করতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ স্টুডিও থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে! অভিনয়ের টানে ছেড়েছিলেন পাকা চাকরি! ইন্ডাস্ট্রিতে বারবার অপমানিত হয়েছেন, ‘কেয়া পাতার নৌকা’র খ্যাত দেবোত্তম মজুমদার!
আর যদিও বা করে থাকে তার জন্য তাকেও অনেক মানুষই নির্যাতিত হতে হয়েছে। অবশেষে পুলিশেরা দুই পক্ষের মধ্যে মিটমাট করে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে বলে। কিন্তু এদিকে বুবলাই বলে, তার মাকে অ্যারেস্ট করা হলে বাধা দিত ঠিকই কিন্তু আজ থেকে সে এবং তার বউ বাড়ির সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করল।
“অনেকে আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকেন, বেশ লাগে! আমার স্ত’ন এতটা সুন্দর না, যতটা তাঁরা আঁকেন।”— নিজের ‘স্ত’ন-ফোকাসড’ কার্টুন প্রিন্ট করে রেখেছেন! স্বস্তিকার এই হাটখোলা স্বীকারোক্তিতে নেটপাড়ার লজ্জা!