অবশেষে, রায় বাড়ি ফিরে পেল তাঁদের ছেলেকে, আদৃত রায়কে। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, মাঝ রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া আদিকে সবাই তড়িঘড়ি করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। এরপর, সবাই আদিকে নিয়ে চিন্তা করতে থাকে ওর কী হল এই বিষয়ে।
এমন চিন্তার সময়ে মোহনা খুবই শুভকে কথা শোনাতে থাকে আর মনে মনে ভাবে তাঁর আয়ানের সবকিছু মনে পরে গেলে সে তাকে অর্থাৎ মোহনাকে ভুলে যাবে। আর, এমন সময়তেই নার্স এসে বলে আদির জ্ঞান ফিরেছে এবং ডাক্তার সবাইকে ডাকছে। এরপর, সবাই মিলে আদির কাছে যায়। আর, প্রাথমিকভাবে ভাবে আদির কিছুই মনে পরেনি কিন্তু পরে দেখা যায় ওর সবই মনে পরে গেছে। এই শুনে সবাই খুশি হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে, অক্ষয় তৃতীয়া ও বাড়ির ছেলে বাড়িতে ফিরছে এই উপলক্ষে রায় বাড়িতে বিশাল পুজোর আয়োজন হয়েছে। বাড়ির সবাই ব্যস্ত কাজে। কেউ ফুল গোছাচ্ছে তো কেউ আলপনা দিচ্ছে। আদির স্মৃতি ফিরছে, এই সুখবরে আনন্দিত সবাই। এমন সময়, সেবন্তী বলে, আদিরা বাড়িতে ফেরা না অবধি সে রাধা-কৃষ্ণের আরতি করতেই থাকতে।
অনেকক্ষণ ধরে আরতি করার সময় সেবন্তী মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার সময়ে তাঁর হাত এসে ধরে শুভ-আদি। আর, একসঙ্গেই আরতি করে। শুভ এসে সেবন্তীকে বলে, সে তাঁর কথা রেখেছে। আদিকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। এরপর, দেখা যায় মনের খুশিতে আদি যায় তাঁর ঠাম্মি-দাদুর ঘরে। আর গিয়ে সেখানে ঠাম্মি-দাদুর আদর খেতে থাকে। সেই সময় তাঁরাও পুরোনো স্মৃতিচারণা করতে থাকে। গত এক বছরের তাঁর অনুপস্থিতিতে কী ঘটেছে সবটাই বলতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ “আমার জন্মের পর মা আমাকে দেখে ভয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন, আমাকে কাছে নিতে চাননি”, ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ চুমকি চৌধুরীর এই অজানা গল্প জানেন?
অন্যদিকে, দেখা যায় রান্নাঘরে চলছে জোরকদমে রান্না। সেবন্তী তাঁর ছেলে-বউয়ের জন্য সব পছন্দের রান্না করছে। আর, এই সময়তেই জানতে পারে আরও এক সুখবর। রোমিত তাঁর এক স্বপ্নের প্রজেক্টে কাজ পেয়েছে। একদিনে দুটো সুখবরে আনন্দ দ্বিগুন হয়ে যায় সবার। এরপর, দেখা যায় দাদু আদিকে শুভর সঙ্গে আকাশের বিয়ের ব্যাপারে বলছে। কিন্তু, তাতে আদি একটুকুও ভুল বোঝে না তাঁদের বরং তাঁদের প্রতি গর্ববোধ হয় যে, শুভকে তাঁরা নিজের মেয়ের মতন করে ভেবেছে।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!