জিনিয়ার সাজানো প্ল্যান ভেস্তে দিল আদৃত। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, জিনিয়া ও কুহেলি এসেছে রায় বাড়িতে। জিনিয়ার সঙ্গে সমিতের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে কুহেলি। রায় বাড়ির সবাই এই প্রস্তাব শুনে অবাক হলেও পূরবীর খুব আনন্দ হয়।
কিন্তু, এই সময় রূপক বলে ‘এতো তাড়াহুড়ো করার কিছুই নেই, ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু, এখনই এনগেজমেন্ট করার কোনো দরকার নেই’। এরপর, শুভ ওদের জন্য খাবার নিয়ে আসে। এমন সময় সমিতিকে বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলেও সে কোনো বাধা দেয় না। কিন্তু, সেই সময় হঠাই এসে পড়ে আদি আর বলে এই বিয়ে হতে পারে না।
আদির এই কথা শুনে শুভ বলে, ‘ওরা যখন দুজনে রাজি তাহলে তুমি বাধা দিচ্ছ কেন?’। এদিকে, আদি বলে এতো তাড়াতাড়ি ওদের বিয়ে দেওয়ার দরকার নেই আর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সবাই সহমতও হয় আদির সঙ্গে। এই সময় বেশ রেগে বেরিয়ে যায় কুহেলিরা।
অন্যদিকে, আদি ঘরে গিয়ে শুভকে বলে জিনিয়াকে অন্ধবিশ্বাস করার ব্যাপারটা তাঁর একদম ভালো লাগছে না। জিনিয়া কোন কারণে রায় ইন্ডাস্ট্রির এতগুলো শেয়ার কিনেছে? আদি জিজ্ঞাসা করে শুভকে আর জিনিয়াকে সন্দেহ করতেই থাকে।
অন্যদিকে, জিনিয়া বাড়ি গিয়ে প্রচন্ড রেগে যায় আর বলে সে আদৃতের থেকে এর বদলা নেবেই। শুভ-আদির মধ্যে ভাঙন ধরাবে। কিছুতেই তাঁদের ভালো থাকতে দেবে না। এরপর দেখা যায় ইচ্ছা করেই জিনিয়া শুভর সঙ্গে বাইরে দেখা করে আর কথায় কথায় আদি-মোহনাকে নিয়ে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়।
এরপর, ফন্দি করে জিনিয়া শুভর হাতে চা ফেলে দেয়। যথারীতি তা পরিষ্কার করার করার জন্য শুভ উঠে গেলেও সেই ফাঁকে শুভর ফোন নিয়ে মোহনাকে একটা মেসেজ করে দেয়। মেসেজে বলে, আদির দেওয়া সব জিনিস তাঁকে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই দেখে মোহনা খুব কষ্ট পায় আর ভাবে, ‘আয়ান তো তোমার কাছে আছে। আর আমার কাছে ওর দেওয়া কটা জিনিস আছে। সেগুলো ফিরিয়ে দিলেও স্মৃতি কী করে ফিরিয়ে দেবো?’
আরও পড়ুনঃ রামকমলের ‘বিনোদিনী’, রুক্মিণীর মুকুটে জুড়লো নয়া পালক! জাতীয় স্তরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারে সম্মানিত হলেন রুক্মিণী! গর্বে বুক চওড়া দেবের!
এরপর, শুভ বাড়ি ফিরে দেখে আদি কেশবের সঙ্গে খেলছে। শুভর মুখ ভার রয়েছে বলে তাঁর রাগ ভাঙাতে চায় আদি। কিন্তু, সে বুঝতে পারে না কী করবে? এদিকে, জিনিয়ার বলা কথা গুলো মনে মনে ভাবতে থাকে শুভ। এরপর, দেখা যায় মোহনার দেওয়া উপহার দেখে স্মৃতিচারণা করতে থাকে আদি। সেই দেখে শুভ তাঁকে বলে, খুব মোহনার কথা মনে পড়ছে?
“অনেকে আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকেন, বেশ লাগে! আমার স্ত’ন এতটা সুন্দর না, যতটা তাঁরা আঁকেন।”— নিজের ‘স্ত’ন-ফোকাসড’ কার্টুন প্রিন্ট করে রেখেছেন! স্বস্তিকার এই হাটখোলা স্বীকারোক্তিতে নেটপাড়ার লজ্জা!