বাংলা বিনোদনের মঞ্চে অন্যতম প্রভাবশালী নারী চরিত্রের জীবনকে রূপালি পর্দায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে অভিনেত্রী ‘রুক্মিণী মৈত্র’ (Rukmini Maitra) , তাঁর অভিনীত ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’ (Binodiini – Ekti Natir Upakhyan) ছবিটি শুধু দর্শকমহলেই নয়, পৌঁছে গিয়েছে উপরাষ্ট্রপতির দপ্তর পর্যন্তও! সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে চলার ৭৫ দিনের মাইলফলক স্পর্শ করেছে এই ছবি, এর পরেই তা সরকারের শীর্ষস্তরেও চূড়ান্ত ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। আর এবার সেই পরিশ্রমেরই স্বীকৃতি মিলল আরও বড় পরিসরে!
পরিচালক ‘রামকমল মুখোপাধ্যায়’ (Ram Kamal Mukherjee) বাংলা থিয়েটারের ইতিহাসে ‘নটী বিনোদিনী’ চরিত্রকে আধুনিক দর্শকের সামনে পুনরায় হাজির করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তিন দশক পর। দীনেন গুপ্তর পর কেউ এই চরিত্রকে চলচ্চিত্রে আনার কথা ভাবেননি। প্রথম ২০১৯ সালে পরিচালক যখন রুক্মিণীকে বিনোদিনীর চরিত্রের প্রস্তাব দেন, তখন থেকেই নাকি অভিনেত্রী তাঁর প্রস্তুতি শুরু করে দেন নতুন লক্ষ্য নিয়ে।
শুধু চরিত্র বিশ্লেষণ নয়, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, শরীরী ভাষা, এবং মঞ্চে অভিনয়ের নানা দিক নিয়ে গভীরভাবে চর্চা করেছিলেন তিনি। ক্লাসিকাল নৃত্যশৈলী থেকে শুরু করে মুখাভিনয়—সবকিছুই শিখতে হয়েছিল তাঁকে। রুক্মিণীর পরিশ্রম আর অভিনয়ের মিশেলে তৈরি এই চরিত্র এখন শুধু এক অভিনেত্রীর সাফল্য নয়, বরং এক ঐতিহাসিক নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও বটে। এই চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে এক করে ফেলেছিলেন রুক্মিণী।
আর বাস্তব জীবনেও সেটার প্রভাব পড়েছিল। এমনকি ঘুমের মধ্যেও তিনি নাকি নাচের অঙ্গভঙ্গি করে উঠতেন, এমন কথাও হেসে ফেলে ছবির প্রচারে বলেছিলেন প্রযোজক দেব। ছবির প্রতিটি দৃশ্যে রুক্মিণীর আত্মনিবেদন এবং দৃষ্টিভঙ্গির নিখুঁত মিল খুঁজে পেয়েছে দর্শক, এটা বলাই বাহুল্য। এবার ১৫তম দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘সেরা অভিনেত্রী’র পুরস্কারে সম্মানিত হলেন দেবর সঙ্গিনী।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু! কাঞ্চনের জন্মদিন মেয়েকে কোলে নিয়ে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর তীব্র রোম্যান্স! ‘কচি বউ-মেয়েকে পেয়ে ছেলেকে একেবারেই ভুলেছেন? কি বাবা আপনি? জন্মদিনেও কটাক্ষ পিছু ছাড়ছে না কাঞ্চনের!
রুক্মিণীর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরিচালক রামকমল তথা ছবির প্রযোজক দেব। তিনিই সমাজ মাধ্যমে পুরস্কার জয়ের খবর প্রকাশ্যে এনে রুক্মিণীর অভিনয় এবং অধ্যবসায়ের প্রশংসা করে বলেছেন, ” তোমায় অনেক অভিনন্দন, তোমার এই প্রাণবন্ত অভিনয় আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। সত্যিই, বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য যে প্রস্তুতি নিয়েছিলে, তা ছিল নিখুঁত আর এটাই তাঁর প্রমাণ।”
“অনেকে আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকেন, বেশ লাগে! আমার স্ত’ন এতটা সুন্দর না, যতটা তাঁরা আঁকেন।”— নিজের ‘স্ত’ন-ফোকাসড’ কার্টুন প্রিন্ট করে রেখেছেন! স্বস্তিকার এই হাটখোলা স্বীকারোক্তিতে নেটপাড়ার লজ্জা!