আশীর্বাদ হয়ে গেল আকাশ-শুভ’র! এদিকে সাদা শাড়ি দেখে আদৃতের মনে পড়লো শুভকে! স্মৃতি ফিরছে আয়ানের! আগামী দিনে কি হতে চলেছে ‘গৃহপ্রবেশ’ ধারাবাহিকে?

নদীয়ার বাড়িতে হয়ে গেল আকাশ-শুভর আশীর্বাদ। স্টার জলসার ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihaprabesh) ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, আকাশ শুভর আশীর্বাদ হয়ে যাওয়া মাত্রই বাড়ির লোকেরা মেতে উঠেছে বিয়ের তোড়জোড় করতে। বসর ঘরে সবাই মিলে হাসি ঠাট্টা আনন্দের মধ্যে থাকলেও শুভ লক্ষী কিছুতেই খুশি হতে পারছে না।

এরমধ্যে, আদৃতের দাদু শুভর বাবাকে বলে, এবারে আর ভিডিও কলের মাধ্যমে কন্যা সম্প্রদান করতে হবে না। বরং সামনাসামনি থেকে নিজে দাঁড়িয়ে মেয়ের বিয়ে দেখতে পাবেন, বলে আদৃতের দাদু। সবাই এই কথা শোনা মাত্রই মুখ ভার হয়ে যায় আর এমন সময় শুভ ভাবতে থাকে সবাই মনে কষ্ট চেপে এই বিয়ের প্রস্তুতি করছে, কেউই আদৃতকে ভুলতে পারেনি।

Tollywood serial Grihaprabash, star jalsha, Ushasi Roy, Sushmit Mukherjee, Entertainmentnews, entertainment, বিনোদন, স্টার জলসা, অভিনেতা, অভিনেত্রী, টলিউড,গৃহপ্রবেশ, সুস্মিত মুখার্জী, ঊষসী রায়, সিরিয়াল, ধারাবাহিক

এদিকে মোহনা আয়ানকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। আয়ানকে ডাক্তার খাতা-পেন্সিল আঁকতে দিয়ে সে মনের মতো করে কাজ করতে থাকে। এমন সময়, আয়ানের সঙ্গে ঘটা সমস্ত ঘটনার কথা ডাক্তারকে বললে তিনি বলেন, আয়ান কি নিজের যুদ্ধটা নিজের সঙ্গেই করতে হবে। এমনকি ডাক্তার মনে করেন খুব তাড়াতাড়ি আয়ানের স্মৃতি ফিরে আসবে।

এদিকে, আবার দেখা যায় পূরবী জামাকাপড় বাছাই করার সময় সমিত বলে, জিনিয়া তাঁকে বলেছে স্যুট পড়লে তাঁকে ভালো লাগবে। এই শুনে পূরবী মনে মনে ভাবতে থাকে তাহলে কি সমিত জিনিয়াকে পছন্দ করছে। এরপর, সমিতের বিয়ে নিয়ে তার বাবা, সেবন্তী এবং শুভ সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কিন্তু জিনিয়ার সঙ্গে সমিতের বিয়ে দিতে নারাজ রূপস।

অন্যদিকে আবার দেখা যায়, দাদার বিয়েতে কোন শাড়ি পরবে তা নিয়ে বাছাই করছে মোহনা। এমন সময় আয়াত এসে পড়ায় মোহনা তাকে জিজ্ঞাসা করে কোন শাড়িটা পড়লে ভালো লাগবে। এরপর, আয়ান তাকে বলে সাদা শাড়ি ছাড়া সব শাড়িই ভালো। কেউ সাদা শাড়ি পড়ুক তা আয়নের মোটেই পছন্দ নয়। একই সময় দেখা যায়, হাতে একটা সাদা শাড়ি নিয়ে স্মৃতিচারণা করছে শুভ আর ভাবছে আদৃত কোনদিনও পছন্দ করছ না সে সাদা শাড়ি পড়ুক। এরপর, মোহনা আয়ানকে গয়না দেখালেও সে আপন মনে বলতে থাকে এই গয়নাটা শুভ লক্ষ্মীকে খুব সুন্দর লাগবে।

এরপর দেখা যায়, বিয়ের কার্ড ঠাকুর মশাই কে পুজো করতে দিয়েছে সেবন্তী। আর, এমন সময় সবাই সবার মনস্কামনা ঠাকুরকে জানাচ্ছে। সেবন্তি মনে মনে বলে, বিয়ের পরে শুভ এবং কেশব দাদুভাই যেন খুব ভালো থাকে। অন্যদিকে আবার শুভকে বলতে দেখা যায়, নিজের সঙ্গে অসম্ভব কঠিন লড়াই করে বিয়ের জন্য রাজি হয়েছে কিন্তু আগামী দিনে আরো কঠিন লড়াই করার জন্য তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে, এমনটাই ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করে।

আরও পড়ুনঃ “ছাপরি ডান্স পারফরম্যান্স! এক পা তুলে তুলে এটা নাচ? ফালতু মেয়ে, এত নোংরামি!” হানি সিং-কনসার্ট সুস্মিতার লুক আর নাচে ছিছিকার নেটপাড়ার!

এরপর কথায় কথায় শুভ আকাশকে জিজ্ঞাসা করে মোহনার বন্ধুর কথা আর ভাবে একটা মেয়ে একজনকে কতটা ভালবাসলে তার জন্য সমস্ত কিছু করতে পারে। এরপর সেবন্তী ঘরে এসে জামা কাপড় গোছাতে গোছাতে ভাবতে থাকে প্রথমে ছেলে তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে আর এখন কেশব চলে যাবে, কি করে থাকবে সে বাড়িতে?